কোন্ দেবতা সে কী , প্রেম ৩৩২ | Kon debota se ki রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। এছাড়া ভারতের জাতীয় স্তোত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম্ গানটিতে রবীন্দ্রনাথই সুরারোপ করেছিলেন।
কোন্ দেবতা সে কী , প্রেম ৩৩২ | Kon debota se ki
রাগ: কালাংড়া-ভৈরবী
তাল: কাহারবা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ফাল্গুন ১৩৪২
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬
কোন্ দেবতা সে কী:
কোন্ দেবতা সে, কী পরিহাসে ভাসালো মায়ার ভেলায়।
স্বপ্নের সাথি, এসো মোরা মাতি স্বর্গের কৌতুক-খেলায়॥
সুরের প্রবাহে হাসির তরঙ্গে বাতাসে বাতাসে ভেসে যাব রঙ্গে
নৃত্যবিভঙ্গে
মাধবীবনের মধুগন্ধে মোদিত মোহিত মন্থর বেলায়॥
যে ফুলমালা দুলায়েছ আজি রোমাঞ্চিত বক্ষতলে
মধুরজনীতে রেখো সরসিয়া মোহের মদির জলে।
নবোদিত সূর্যের করসম্পাতে বিকল হবে হায় লজ্জা-আঘাতে,
দিন গত হলে নূতন প্রভাতে মিলাবে ধুলার তলে কার অবহেলায়॥
‘রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি।
রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।
আরও দেখুনঃ