কোলাহল তো বারণ হল , পূজা ৩৬১ | Kolahol to baron holo

কোলাহল তো বারণ হল , পূজা ৩৬১ | Kolahol to baron holo  রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

 

 

কোলাহল তো বারণ হল , পূজা ৩৬১ | Kolahol to baron holo

রাগ: পিলু

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৮ চৈত্র, ১৩১৮

 

কোলাহল তো বারণ হল , পূজা ৩৬১ | Kolahol to baron holo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

কোলাহল তো বারণ হল:

 

কোলাহল তো বারণ হল, এবার কথা কানে কানে।

এখন হবে প্রাণের আলাপ কেবলমাত্র গানে গানে॥

রাজার পথে লোক ছুটেছে, বেচাকেনার হাঁক উঠেছে,

আমার ছুটি অবেলাতেই দিনদুপুরে মধ্যখানে–

কাজের মাঝে ডাক পড়েছে কেন যে তাই কেই বা জানে॥

মোর কাননে অকালে ফুল উঠুক তবে মুঞ্জরিয়া।

মধ্যদিনে মৌমাছিরা বেড়াক মৃদু গুঞ্জরিয়া।

মন্দ-ভালোর দ্বন্দ্বে খেটে গেছে তো দিন অনেক কেটে,

অলস-বেলায় খেলার সাথি এবার আমার হৃদয় টানে–

বিনা-কাজের ডাক পড়েছে

কেন যে তাই কেই বা জানে॥

 

কোলাহল তো বারণ হল , পূজা ৩৬১ | Kolahol to baron holo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

কোলাহল তো বারণ হল , পূজা ৩৬১ | Kolahol to baron holo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা।

আরও দেখুন:

মন্তব্য করুন