ছিন্ন শিকল পায়ে , প্রেম ২১১ | Chinno shikol paye

ছিন্ন শিকল পায়ে , প্রেম ২১১ | Chinno shikol paye  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

 

ছিন্ন শিকল পায়ে , প্রেম ২১১ | Chinno shikol paye

রাগ: কাফি

তাল: ষষ্ঠী

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩৪৫

 

ছিন্ন শিকল পায়ে , প্রেম ২১১ | Chinno shikol paye
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

ছিন্ন শিকল পায়ে:

 

ছিন্ন শিকল পায়ে নিয়ে ওরে পাখি,

যা উড়ে যা উড়ে যা রে একাকী॥

বাজবে তোর পায়ে সেই বন্ধ, পাখাতে পাবি আনন্দ,

দিশাহারা মেঘ যে গেল ডাকি॥

নির্মল দুঃখ যে সেই তো মুক্তি নির্মল শূন্যের প্রেমে–

আত্মবিড়ম্বনা দারুণ লজ্জা, নিঃশেষে যাক সে থেমে।

দুরাশায় যে মরাবাঁচায় এত দিন ছিলি তোর খাঁচায়,

ধুলিতলে তারে যাবি রাখি॥

 

ছিন্ন শিকল পায়ে , প্রেম ২১১ | Chinno shikol paye
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা।

 

১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়।

 

ছিন্ন শিকল পায়ে , প্রেম ২১১ | Chinno shikol paye
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন