জ্যোতিষ-শাস্ত্র
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগ্রন্থ : শিশু [ ১৯০৩ ]
কবিতার শিরনামঃ জ্যোতিষ-শাস্ত্র
![জ্যোতিষ-শাস্ত্র jyotish shastro [ কবিতা ] - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 2 জ্যোতিষ-শাস্ত্র jyotish shastro [ কবিতা ] - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর](https://amarrabindranath.com/wp-content/uploads/2022/04/images-40-3.jpg)
Table of Contents
জ্যোতিষ-শাস্ত্র jyotish shastro [ কবিতা ] – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমি শুধু বলেছিলেম —
“কদম গাছের ডালে
পূর্ণিমা-চাঁদ আটকা পড়ে
যখন সন্ধেকালে
তখন কি কেউ তারে
ধরে আনতে পারে।’
শুনে দাদা হেসে কেন
বললে আমায়, “খোকা,
তোর মতো আর দেখি নাইকো বোকা।
চাঁদ যে থাকে অনেক দূরে
কেমন করে ছুঁই;
আমি বলি, “দাদা, তুমি
জান না কিচ্ছুই।
মা আমাদের হাসে যখন
ওই জানলার ফাঁকে
তখন তুমি বলবে কি, মা
অনেক দূরে থাকে।’
তবু দাদা বলে আমায়, “খোকা,
তোর মতো আর দেখি নাই তো বোকা।’
![জ্যোতিষ-শাস্ত্র jyotish shastro [ কবিতা ] - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 3 পথবর্তী pothoborthi [ কবিতা ] - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর](https://amarrabindranath.com/wp-content/uploads/2022/04/images-4-2.jpg)
দাদা বলে, “পাবি কোথায়
অত বড়ো ফাঁদ।’
আমি বলি, “কেন দাদা,
ওই তো ছোটো চাঁদ,
দুটি মুঠোয় ওরে
আনতে পারি ধরে।’
শুনে দাদা হেসে কেন
বললে আমায়, “খোকা,
তোর মতো আর দেখি নাই তো বোকা।
চাঁদ যদি এই কাছে আসত
দেখতে কত বড়ো।’
আমি বলি, “কী তুমি ছাই
ইস্কুলে যে পড়।
মা আমাদের চুমো খেতে
মাথা করে নিচু,
তখন কি আর মুখটি দেখায়
মস্ত বড়ো কিছু।’
তবু দাদা বলে আমায়, “খোকা,
তোর মতো আর দেখি নাই তো বোকা।’
আরও দেখুনঃ