তোমার গীতি জাগালো , প্রেম ২৫৩ | Tomar giti jagalo রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
তোমার গীতি জাগালো , প্রেম ২৫৩ | Tomar giti jagalo
রাগ: মিয়াঁ মল্লার
তাল: তেওরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩ আষাঢ়, ১৩৩৪
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২৮ জুন, ১৯২৭
তোমার গীতি জাগালো:
তোমার গীতি জাগালো স্মৃতি নয়ন ছলছলিয়া,
বাদলশেষে করুণ হেসে যেন চামেলি-কলিয়া ॥
সজল ঘন মেঘের ছায়ে মৃদু সুবাস দিল বিছায়ে,
না-দেখা কোন্ পরশঘায়ে পড়িছে টলটলিয়া ॥
তোমার বাণী-স্মরণখানি আজি বাদলপবনে
নিশীথে বারিপতন-সম ধ্বনিছে মম শ্রবণে।
সে বাণী যেন গানেতে লেখা দিতেছে আঁকি সুরের রেখা
যে পথ দিয়ে তোমারি, প্রিয়ে, চরণ গেল চলিয়া ॥
১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও দেখুনঃ