পুষ্পবনে পুষ্প নাহি , প্রেম ১৪১ | Pushpobone pushpo nahi

পুষ্পবনে পুষ্প নাহি , প্রেম ১৪১ | Pushpobone pushpo nahi  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

 

পুষ্পবনে পুষ্প নাহি , প্রেম ১৪১ | Pushpobone pushpo nahi

রাগ: ললিত-কালাংড়া

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৪ আশ্বিন, ১৩০২

 

পুষ্পবনে পুষ্প নাহি , প্রেম ১৪১ | Pushpobone pushpo nahi
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

পুষ্পবনে পুষ্প নাহি:

পুষ্পবনে পুষ্প নাহি, আছে অন্তরে।

পরানে বসন্ত এল কার মন্তরে॥

মুঞ্জরিল শুষ্ক শাখী, কুহরিল মৌন পাখি,

বহিল আনন্দধারা মরুপ্রান্তরে॥

দুখেরে করি না ডর, বিরহে বেঁধেছি ঘর,

মনোকুঞ্জে মধুকর তবু গুঞ্জরে।

হৃদয়ে সুখের বাসা, মরমে অমর আশা,

চিরবন্দী ভালোবাসা প্রাণপিঞ্জরে॥

 

পুষ্পবনে পুষ্প নাহি , প্রেম ১৪১ | Pushpobone pushpo nahi
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।

১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়।

১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

 

পুষ্পবনে পুষ্প নাহি , প্রেম ১৪১ | Pushpobone pushpo nahi
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন