মিলনরাতি পোহালো , প্রেম ১৬১ | Milonrati pohalo রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।
মিলনরাতি পোহালো , প্রেম ১৬১ | Milonrati pohalo
রাগ: পরজ-ভৈরবী
তাল: ঝাঁপতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩৩৭
মিলনরাতি পোহালো:
মিলনরাতি পোহালো, বাতি নেভার বেলা এল–
ফুলের পালা ফুরালে ডালা উজাড় করে ফেলো ॥
স্মৃতির ছবি মিলাবে যবে ব্যথার তাপ কিছু তো রবে,
তা নিয়ে মনে বিজন খনে বিরহদীপ জ্বেলো ॥
ফাল্গুনের মাধবীলীলা কুঞ্জ ছিল ঘিরে,
চৈত্রবনে বেদনা তারি মর্মরিয়া ফিরে।
হয়েছে শেষ, তবুও বাকি কিছু তো গান গিয়েছি রাখি–
সেটুকু নিয়ে গুন্গুনিয়ে সুরের খেলা খেলো ॥
রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত। ৬৪ খণ্ডে প্রকাশিত স্বরবিতান গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় গানের স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
আরও দেখুনঃ