সফল করো হে প্রভু , পূজা ৩০৫ | Sofol koro he probhu

সফল করো হে প্রভু , পূজা ৩০৫ | Sofol koro he probhu  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন। রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন।প্রথম পর্বে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন।

 

সফল করো হে প্রভু , পূজা ৩০৫ | Sofol koro he probhu

রাগ: সাহানা

তাল: ত্রিতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩০৮

 

সফল করো হে প্রভু , পূজা ৩০৫ | Sofol koro he probhu
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

সফল করো হে প্রভু:

 

সফল করো হে প্রভু আজি সভা, এ রজনী হোক মহোৎসবা ॥

বাহির অন্তর ভুবনচরাচর মঙ্গলডোরে বাঁধি এক করো–

শুষ্ক হৃদয় করো প্রেমে সরসতর, শূন্য নয়নে আনো পুণ্যপ্রভা ॥

অভয়দ্বার তব করো হে অবারিত, অমৃত-উৎস তব করো উৎসারিত,

গগনে গগনে করো প্রসারিত অতিবিচিত্র তব নিত্যশোভা।

সব ভকতে তব আনো এ পরিষদে, বিমুখ চিত্ত যত করো নত তব পদে,

রাজ-অধীশ্বর, তব চিরসম্পদ সব সম্পদ করো হতগরবা ॥

 

সফল করো হে প্রভু , পূজা ৩০৫ | Sofol koro he probhu
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি ও কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন।এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট। এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন। ১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।

 

সফল করো হে প্রভু , পূজা ৩০৫ | Sofol koro he probhu
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন