সাত সমুদ্র পারে
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগ্রন্থ : শিশু ভোলানাথ [ ১৯২২ ]
কবিতার শিরনামঃ সাত সমুদ্র পারে
![সাত সমুদ্র পারে sat somudro pare [ কবিতা ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 2 সাত সমুদ্র পারে sat somudro pare [ কবিতা ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর](https://amarrabindranath.com/wp-content/uploads/2022/04/download-4-1.jpg)
Table of Contents
সাত সমুদ্র পারে sat somudro pare [ কবিতা ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেখছ না কি, নীল মেঘে আজ
আকাশ অন্ধকার।
সাত সমুদ্র তেরো নদী
আজকে হব পার।
নাই গোবিন্দ, নাই মুকুন্দ,
নাইকো হরিশ খোঁড়া।
তাই ভাবি যে কাকে আমি
করব আমার ঘোড়া।
কাগজ ছিঁড়ে এনেছি এই
বাবার খাতা থেকে,
নৌকো দে না বানিয়ে, অমনি
দিস, মা, ছবি এঁকে।
রাগ করবেন বাবা বুঝি
দিল্লি থেকে ফিরে?
ততক্ষণ যে চলে যাব
সাত সমুদ্র তীরে।
এমনি কি তোর কাজ আছে, মা,
কাজ তো রোজই থাকে।
![সাত সমুদ্র পারে sat somudro pare [ কবিতা ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 3 ভীরুতা bhiruta [ কবিতা ] - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর](https://amarrabindranath.com/wp-content/uploads/2022/04/download-2-1.jpg)
বাবার চিঠি এক্খুনি কি
দিতেই হবে ডাকে?
নাই বা চিঠি ডাকে দিলে
আমার কথা রাখো,
আজকে না হয় বাবার চিঠি
মাসি লিখুন নাকো!
আমার এ যে দরকারি কাজ
বুঝতে পার না কি?
দেরি হলেই একেবারে
সব যে হবে ফাঁকি।
মেঘ কেটে যেই রোদ উঠবে
বৃষ্টি বন্ধ হলে
সাত সমুদ্র তেরো নদী
কোথায় যাবে চলে!
আরও দেখুনঃ