হৃদয়ে হৃদয় আসি , পূজা ৫০১ | Hridoye hridoy ashi রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়।
হৃদয়ে হৃদয় আসি , পূজা ৫০১ | Hridoye hridoy ashi
রাগ: পরজ
তাল: ঝাঁপতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১১ মাঘ, ১৩৪৩
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): জানুয়ারি, ১৯৩৭
হৃদয়ে হৃদয় আসি:
হৃদয়ে হৃদয় আসি মিলে যায় যেথা,
হে বন্ধু আমার,
সে পুণ্যতীর্থের যিনি জাগ্রত দেবতা
তাঁরে নমস্কার ॥
বিশ্বলোক নিত্য যাঁর শাশ্বত শাসনে
মরণ উত্তীর্ণ হয় প্রতি ক্ষণে ক্ষণে,
আবর্জনা দূরে যায় জরাজীর্ণতার,
তাঁরে নমস্কার ॥
যুগান্তের বহ্নিস্নানে যুগান্তরদিন
নির্মল করেন যিনি, করেন নবীন,
ক্ষয়শেষে পরিপূর্ণ করেন সংসার,
তাঁরে নমস্কার।
পথযাত্রী জীবনের দুঃখে সুখে ভরি
অজানা উদ্দেশ-পানে চলে কালতরী,
ক্লান্তি তার দূর করি করিছেন পার,
তাঁরে নমস্কার ॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
আরও দেখুনঃ