হেরি তব বিমলমুখভাতি , পূজা ৩২৮ | Heri tobo bimolmukhvati

হেরি তব বিমলমুখভাতি , পূজা ৩২৮ | Heri tobo bimolmukhvati রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

 

হেরি তব বিমলমুখভাতি , পূজা ৩২৮ | Heri tobo bimolmukhvati

রাগ: ভৈরবী

তাল: ঝাঁপতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯২

 

হেরি তব বিমলমুখভাতি , পূজা ৩২৮ | Heri tobo bimolmukhvati
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

হেরি তব বিমলমুখভাতি দূর হল গহন দুখরাতি।

ফুটিল মন প্রাণ মম তব চরণলালসে, দিনু হৃদয়কমলদল পাতি ॥

তব নয়নজ্যোতিকণা লাগি তরুণ রবিকিরণ উঠে জাগি।

নয়ন খুলি বিশ্বজন বদন তুলি চাহিল তব দরশপরশসুখ মাগি।

গগনতল মগন হল শুভ্র তব হাসিতে,

উঠিল ফুটি কত কুসুমপাঁতি– হেরি তব বিমলমুখভাতি ॥

ধ্বনিত বন বিহগকলতানে, গীত সব ধায় তব পানে।

পূর্বগগনে জগত জাগি উঠি গাহিল, পূর্ণ সব তব রচিত গানে।

প্রেমরস পান করি গান করি কাননে

উঠিল মন প্রাণ মম মাতি– হেরি তব বিমলমুখভাতি ॥

 

হেরি তব বিমলমুখভাতি , পূজা ৩২৮ | Heri tobo bimolmukhvati
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। এছাড়া ভারতের জাতীয় স্তোত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম্‌ গানটিতে রবীন্দ্রনাথই সুরারোপ করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

হেরি তব বিমলমুখভাতি , পূজা ৩২৮ | Heri tobo bimolmukhvati
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন