হে মোর দেবতা , পূজা ৮৫ | He mor debota

হে মোর দেবতা , পূজা ৮৫ | He mor debota  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

 

হে মোর দেবতা , পূজা ৮৫ | He mor debota

রাগ: ইমনকল্যাণ

তাল: একতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩ আষাঢ়, ১৩১৭

 

হে মোর দেবতা , পূজা ৮৫ | He mor debota
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ

কী অমৃত তুমি চাহ করিবারে পান।

আমার নয়নে তোমার বিশ্বছবি

দেখিয়া লইতে সাধ যায় তব কবি,

আমার মুগ্ধ শ্রবণে নীরব রহি

শুনিয়া লইতে চাহ আপনার গান।

হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ

কী অমৃত তুমি চাহ করিবারে পান।

আমার চিত্তে তোমার সৃষ্টিখানি

রচিয়া তুলিছে বিচিত্র এক বাণী।

তারি সাথে প্রভু মিলিয়া তোমার প্রীতি

জাগায়ে তুলিছে আমার সকল গীতি,

আপনারে তুমি দেখিছ মধুর রসে

আমার মাঝারে নিজেরে করিয়া দান।

হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ

কী অমৃত তুমি চাহ করিবারে পান।

 

হে মোর দেবতা , পূজা ৮৫ | He mor debota
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর ঠাকুরবাড়ির অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী (১৮৭৩–১৯০২ )। রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনীর সন্তান ছিলেন পাঁচ জন। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।

 

হে মোর দেবতা , পূজা ৮৫ | He mor debota
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন