অজ্ঞাত বিশ্ব কবিতাটি [ onabrishti kobita ] কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর চৈতালী-কাব্যগ্রন্থের অংশ। এটি আশ্বিন, ১৩০৩ (১৮৯৬ খ্রীস্টাব্দ) বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়। এতে সর্বমোট ৭৮টি কবিতা রয়েছে। এটি রবীন্দ্রনাথের কাব্য রচনার “চিত্রা-চৈতালি পর্ব”-এর অন্তর্গত একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।
কাব্যগ্রন্থের নামঃ চৈতালী
কবিতার নামঃ অ-জ্ঞাত বিশ্ব

অজ্ঞাত বিশ্ব কবিতা । ogyato bishwo kobita | চৈতালী কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্মেছি তোমার মাঝে ক্ষণিকের তরে
অসীম প্রকৃতি! সরল বিশ্বাসভরে
তবু তোরে গৃহ ব’লে মাতা ব’লে মানি।
আজ সন্ধ্যাবেলা তোর নখদন্ত হানি
প্রচন্ড পিশাচীরূপে ছুটিয়া গর্জিয়া,
আপনার মাতৃবেশ শূন্যে বিসর্জিয়া
কুটি কুটি ছিন্ন করি বৈশাখের ঝড়ে
ধেয়ে এলি ভয়ংকরী ধূলিপক্ষ-‘পরে,

তৃণসম করিবারে প্রাণ উৎপাটন।
সভয়ে শুধাই আজি, হে মহাভীষণ,
অনন্ত আকাশপথ রুধি চারি ধারে
কে তুমি সহস্রবায়ু ঘিরেছ আমারে?
আমার ক্ষণিক প্রাণ কে এনেছে যাচি?
কোথা মোরে যেতে হবে, কেন আমি আছি?
আরও দেখুনঃ
ভীষণ কবিতা | bhishon kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বনস্পতি কবিতা | bonospoti kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অন্তরতম কবিতা | ontorotomo kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মিলনযাত্রা কবিতা | milonjatra kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সাঁওতাল মেয়ে কবিতা | saotal meye kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর