আছ আপন মহিমা লয়ে , পূজা ৩৩৮ | Acho apon mohima loye

আছ আপন মহিমা লয়ে | Acho apon mohima loye গানটি পূজা  পর্বের একটি গান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

আছ আপন মহিমা লয়ে , পূজা ৩৩৮ | Acho apon mohima loye

রাগ: ভৈরবী | তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): শ্রাবণ, ১৩৩৯
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1932

 

আছ আপন মহিমা লয়ে , পূজা ৩৩৮ | Acho apon mohima loye
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

আছ আপন মহিমা লয়ে :

আছ আপন মহিমা লয়ে মোর গগনে রবি,

আঁকিছ মোর মেঘের পটে তব রঙেরই ছবি ॥

তাপস, তুমি ধেয়ানে তব কী দেখ মোরে কেমনে কব–

তোমার জটে আমি তোমারি ভাবের জাহ্নবী ॥

তোমারি সোনা বোঝাই হল, আমি তো তার ভেলা।

নিজেরে তুমি ভোলাবে ব’লে আমারে নিয়ে খেলা।

কণ্ঠে মম কী কথা শোন অর্থ আমি বুঝি না কোনো–

বীণাতে মোর কাঁদিয়া ওঠে তোমারি ভৈরবী ॥

AmarRabindranath.com Logo 252x68 px White আছ আপন মহিমা লয়ে , পূজা ৩৩৮ | Acho apon mohima loye

 

রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল।কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন।

 

প্রত্যাশা কবিতা । protyasa kobita | কড়ি ও কোমল কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন।এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন।রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত প্রজাতন্ত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।মনে করা হয় শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত শ্রীলঙ্কা মাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়ে লেখা হয়েছে।

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন