আজি কোন্ ধন হতে , পূজা ২৫১ | Aji kon dhon hote গানটি পূজা পর্বের একটি গান | রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।
আজি কোন্ ধন হতে , পূজা ২৫১ | Aji kon dhon hote
রাগ: কেদারা | তাল: চৌতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৮ শ্রাবণ, ১৩০৩
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1896
রচনাস্থান: ইচ্ছামতী নদীবক্ষে
স্বরলিপিকার: কাঙ্গালীচরণ সেন

আজি কোন্ ধন হতে :
আজি কোন্ ধন হতে বিশ্বে আমারে
কোন্ জনে করে বঞ্চিত–
তব চরণ-কমল-রতন-রেণুকা
অন্তরে আছে সঞ্চিত ॥
কত নিঠুর কঠোর দরশে ঘরষে মর্মমাঝারে শল্য বরষে,
তবু প্রাণ মন পীযূষপরশে পলে পলে পুলকাঞ্চিত ॥
আজি কিসের পিপাসা মিটিল না ওগো
পরম পরানবল্লভ!
চিতে চিরসুধা করে সঞ্চার তব
সকরুণ করপল্লব।
নাথ, যার যাহা আছে তার তাই থাক, আমি থাকি চিরলাঞ্ছিত–
শুধু তুমি এ জীবনে নয়নে নয়নে থাকো থাকো চিরবাঞ্ছিত ॥
![আজি কোন্ ধন হতে , পূজা ২৫১ | Aji kon dhon hote 3 দুঃখী dukkhi [ কবিতা ] -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর](https://amarrabindranath.com/wp-content/uploads/2022/04/images-7-1.jpg)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন।
![আজি কোন্ ধন হতে , পূজা ২৫১ | Aji kon dhon hote 4 ঋতু-অবসান ritu obosan [ কবিতা ] -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর](https://amarrabindranath.com/wp-content/uploads/2022/04/images-6-1.jpg)
১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন।১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়
আরও দেখুন :