আমার প্রাণের মাঝে , প্রেম ১১০ | Amar praner majhe রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।
আমার প্রাণের মাঝে , প্রেম ১১০ | Amar praner majhe
রাগ: কীর্তন
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩৪৪

আমার প্রাণের মাঝে:
আমার প্রাণের মাঝে সুধা আছে, চাও কি–
হায় বুঝি তার খবর পেলে না।
পারিজাতের মধুর গন্ধ পাও কি–
হায় বুঝি তার নাগাল মেলে না ॥
প্রেমের বাদল নামল, তুমি জানো না হায় তাও কি।
আজ মেঘের ডাকে তোমার মনের ময়ূরকে নাচাও কি।
আমি সেতারেতে তার বেঁধেছি, আমি সুরলোকের সুর সেধেছি,
তারি তানে তানে মনে প্রাণে মিলিয়ে গলা গাও কি–
হায় আসরেতে বুঝি এলে না।
ডাক উঠেছে বারে বারে, তুমি সাড়া দাও কি!
আজ ঝুলনদিনে দোলন লাগে, তোমার পরান হেলে না ॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।
আরও দেখুন :