“আমার বোঝা এতই করি ভারী” (Amar Bojha Etoi Kori Bhari) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতালি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি আধ্যাত্মিক ভাবসম্পন্ন কবিতা। ১৯১৪ সালে প্রকাশিত গীতালি কাব্যগ্রন্থে ভক্তিমূলক ও দার্শনিক অনুভূতির মিশেলে লেখা কবিতাগুলো স্থান পেয়েছে। “আমার বোঝা এতই করি ভারী” কবিতায় কবি জীবনের অহংকার, আত্মকেন্দ্রিকতা ও তার ভারমুক্ত হয়ে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আত্মসমর্পণের আকুলতা প্রকাশ করেছেন।
কবিতার মৌলিক তথ্য:
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগ্রন্থ: গীতালি
কবিতার নাম: আমার বোঝা এতই করি ভারী
প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ): ১৯১৪
বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি: ভক্তিমূলক/আধ্যাত্মিক
আমার বোঝা এতই করি ভারী – কবিতার পাঠ:
আমার বোঝা এতই করি ভারী–
তোমার ভার যে বইতে নাহি পারি।
আমারি নাম সকল গায়ে লিখা,
হয় নি পরা তব নামের টিকা–
তাই তো আমায় দ্বার ছাড়ে না দ্বারী।
আমার ঘরে আমিই শুধু থাকি,
তোমার ঘরে লও আমারে ডাকি।
বাঁচিয়ে রাখি যা-কিছু মোরে আছে
তার ভাবনায় প্রাণ তো নাহি বাঁচে–
সব যেন মোর তোমার কাছে হারি।