আমার ভাঙা পথের , পূজা ৫৭৩ | Amar vanga pother

আমার ভাঙা পথের | Amar vanga pother গানটি পূজা পর্বের একটি গান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

আমার ভাঙা পথের , পূজা ৫৭৩ | Amar vanga pother

রাগ: বেহাগ | তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৫ ফাল্গুন, ১৩২০
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৪
রচনাস্থান: কুষ্টিয়া যাবার পথে পাল্কিতে
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

আমার ভাঙা পথের
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

আমার ভাঙা পথের :

আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন!

তারি গলার মালা হতে পাপড়ি হোথা লুটায় ছিন্ন ॥

এল যখন সাড়াটি নাই, গেল চলে জানালো তাই–

এমন ক’রে আমারে হায় কে বা কাঁদায় সে জন ভিন্ন ॥

তখন তরুণ ছিল অরুণ আলো, পথটি ছিল কুসুমকীর্ণ।

বসন্ত যে রঙিন বেশে ধরায় সে দিন অবতীর্ণ।

সে দিন খবর মিলল না যে, রইনু বসে ঘরের মাঝে–

আজকে পথে বাহির হব বহি আমার জীবন জীর্ণ ॥

 

প্রকৃতির প্রতি কবিতা । prokritir proti kobita | মানসী কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল।কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন।সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন।

 

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন।রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত প্রজাতন্ত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।মনে করা হয় শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত শ্রীলঙ্কা মাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়ে লেখা হয়েছে।

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন