আমার মাঝে তোমারি মায়া , পূজা ৭১ | Amar majhe tomari maya

আমার মাঝে তোমারি মায়া | Amar majhe tomari maya গানটি পূজা পর্বের একটি গান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

আমার মাঝে তোমারি মায়া , পূজা ৭১ | Amar majhe tomari maya

রাগ: ভৈরবী | তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): পৌষ, ১৩৩৬
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1930
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

আমার মাঝে তোমারি মায়া , পূজা ৭১ | Amar majhe tomari maya
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

আমার মাঝে তোমারি মায়া :

আমার মাঝে তোমারি মায়া জাগালে তুমি কবি।

আপন-মনে আমারি পটে আঁকো মানস ছবি ॥

তাপস তুমি ধেয়ানে তব কী দেখ মোরে কেমনে কব,

আপন-মনে মেঘস্বপন আপনি রচ রবি।

তোমার জটে আমি তোমারি ভাবের জাহ্নবী ॥

তোমারি সোনা বোঝাই হল, আমি তো তার ভেলা–

নিজেরে তুমি ভোলাবে ব’লে আমারে নিয়ে খেলা।

কণ্ঠে মম কী কথা শোন অর্থ আমি বুঝি না কোনো,

বীণাতে মোর কাঁদিয়া ওঠে তোমারি ভৈরবী।

মুকুল মম সুবাসে তব গোপনে সৌরভী ॥

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল।

 

প্রকৃতির প্রতি কবিতা । prokritir proti kobita | মানসী কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন।সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন।এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন।

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন