Site icon Amar Rabindranath [ আমার রবীন্দ্রনাথ ] GOLN

আমার যে আসে কাছে , পূজা ২৪৬ | Amar je ashe kache

আমার যে আসে কাছে | Amar je ashe kache রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এফআরএএস (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়।

আমার যে আসে কাছে , পূজা ২৪৬ | Amar je ashe kache

রাগ: পরজ | তাল: তেওরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১ কার্তিক, ১৩২০
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৮ অক্টোবর, ১৯১৩
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: ব্রজেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

আমার যে আসে কাছে :

আমার যে আসে কাছে, যে যায় চলে দূরে,

কভু পাই বা কভু না পাই যে বন্ধুরে,

যেন এই কথাটি বাজে মনের সুরে–

তুমি আমার কাছে এসেছ ॥

কভু মধুর রসে ভরে হৃদয়খানি,

কভু নিঠুর বাজে প্রিয়মুখের বাণী,

তবু নিত্য যেন এই কথাটি জানি–

তুমি স্নেহের হাসি হেসেছ ॥

ওগো কভু সুখের কভু দুখের দোলে

মোর জীবন জুড়ে কত তুফান তোলে,

যেন চিত্ত আমার এই কথা না ভোলে–

তুমি আমায় ভালোবেসেছ।

যবে মরণ আসে নিশীথে গৃহদ্বারে

যবে পরিচিতের কোল হতে সে কাড়ে,

যেন জানি গো সেই অজানা পারাবারে

এক তরীতে তুমিও ভেসেছ ॥

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন।১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়

আরও দেখুন :

Exit mobile version