আমি তারেই জানি | Ami tarei jani রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়।
আমি তারেই জানি , পূজা ৫৫১ | Ami tarei jani
রাগ: পিলু-বাউল | তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1340
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1933
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার
আমি তারেই জানি :
আমি তারেই জানি তারেই জানি আমায় যে জন আপন জানে–
তারি দানে দাবি আমার যার অধিকার আমার দানে ॥
যে আমারে চিনতে পারে সেই চেনাতেই চিনি তারে গো–
একই আলো চেনার পথে তার প্রাণে আর আমার প্রাণে ॥
আপন মনের অন্ধকারে ঢাকল যারা
আমি তাদের মধ্যে আপনহারা।
ছুঁইয়ে দিল সোনার কাঠি, ঘুমের ঢাকা গেল কাটি গো–
নয়ন আমার ছুটেছে তার আলো-করা মুখের পানে ॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত।
আরও দেখুন :
- আমি তারেই খুঁজে , পূজা ৫৪৭ | Ami tarei khuje
- আমি জ্বালব না মোর , পূজা ৩৪৮ | Ami jalabo na mor
- আমি জেনে শুনে , পূজা ৬৩ | Ami jene shune
- আমি কী বলে , পূজা ৪৭৮ | Ami ki bole
- তোমাদের দান তোমাদের বাণী | Tomader dan tomader bani | গুল বাগিচা | নজরুল সঙ্গীত | কাজী নজরুল ইসলাম