“আমি পথিক, পথ আমারি সাথি” (Ami Pothik, Poth Amari Sathi) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতালি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি দার্শনিক ও জীবনমুখী কবিতা। ১৯১৪ সালে প্রকাশিত গীতালি কাব্যগ্রন্থে ভ্রমণ, যাত্রা, পথের সঙ্গ ও চলার আনন্দকে জীবনের অংশ হিসেবে তুলে ধরা বহু কবিতা স্থান পেয়েছে। “আমি পথিক, পথ আমারি সাথি” কবিতায় কবি চলার আনন্দ, পথের সান্নিধ্য এবং যাত্রাপথে নব নব অভিজ্ঞতার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
কবিতার মৌলিক তথ্য:
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগ্রন্থ: গীতালি
কবিতার নাম: আমি পথিক, পথ আমারি সাথি
প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ): ১৯১৪
বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি: দার্শনিক/জীবনমুখী
আমি পথিক, পথ আমারি সাথি – কবিতার পাঠ:
আমি পথিক, পথ আমারি সাথি।
দিন সে কাটায় গনি গনি
বিশ্বলোকের চরণধ্বনি,
তারার আলোয় গায় সে সারা রাতি।
কত যুগের রথের রেখা
বক্ষে তাহার আঁকে লেখা,
কত কালের ক্লান্ত আশা
ঘুমায় তাহার ধুলায় আঁচল পাতি।
বাহির হলেম কবে সে নাই মনে।
যাত্রা আমার চলার পাকে
এই পথেরই বাঁকে বাঁকে
নূতন হল প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।
যত আশা পথের আশা,
পথে যেতেই ভালোবাসা,
পথে চলার নিত্যরসে
দিনে দিনে জীবন ওঠে মাতি।