আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি , গীতালি ৬৪ | Ami hridoyete poth ketechi

আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি , | Ami hridoyete poth ketechi গানটি রবীন্দ্রনাথের গীতালি পর্বের ৬৪ নম্বর গান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন। ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি  | Ami hridoyete poth ketechi

  কলিকাতা, ৬ ভাদ্র, ১৩২১

 

আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি :

আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি,

সেথায় চরণ পড়ে,

তোমার সেথায় চরণ পড়ে।

তাই তো আমার সকল পরান

কাঁপছে ব্যথার ভরে গো

কাঁপছে থরথরে।

ব্যথা-পথের পথিক তুমি,

চরণ চলে ব্যথা চুমি,

কাঁদন দিয়ে সাধন আমার

চিরদিনের তরে গো

চিরজীবন ধ’রে।

নয়নজলের বন্যা দেখে

ভয় করি নে আর,

আমি ভয় করি নে আর।

মরণ-টানে টেনে আমায়

করিয়ে দেবে পার,

আমি তরব পারাবার!

ঝড়ের হাওয়া আকুল গানে

বইছে আজি তোমার পানে,

ডুবিয়ে তরী ঝাঁপিয়ে পড়ি

ঠেকব চরণ-‘পরে,

আমি বাঁচব চরণ ধ’রে।

AmarRabindranath.com Logo 252x68 px Dark আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি , গীতালি ৬৪ | Ami hridoyete poth ketechi

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত ছবি আঁকা শুরু করেন প্রায় সত্তর বছর বয়সে। চিত্রাঙ্কনে কোনো প্রথাগত শিক্ষা তার ছিল না। প্রথমদিকে তিনি লেখার হিজিবিজি কাটাকুটিগুলিকে একটি চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করতেন।এই প্রচেষ্টা থেকেই তার ছবি আঁকার সূত্রপাত ঘটে।

১৯২৮ থেকে ১৯৩৯ কালপরিধিতে অঙ্কিত তার স্কেচ ও ছবির সংখ্যা আড়াই হাজারের ওপর, যার ১৫৭৪টি শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত আছে। দক্ষিণ ফ্রান্সের শিল্পীদের উৎসাহে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয় প্যারিসের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে।

এরপর সমগ্র ইউরোপেই কবির একাধিক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছবিতে রং ও রেখার সাহায্যে রবীন্দ্রনাথ সংকেতের ব্যবহার করতেন।রবীন্দ্রনাথ প্রাচ্য চিত্রকলার পুনরুত্থানে আগ্রহী হলেও, তার নিজের ছবিতে আধুনিক বিমূর্তধর্মিতাই বেশি প্রস্ফুটিত হয়েছে। মূলত কালি-কলমে আঁকা স্কেচ, জলরং ও দেশজ রঙের ব্যবহার করে তিনি ছবি আঁকতেন। তার ছবিতে দেখা যায় মানুষের মুখের স্কেচ, অনির্ণেয় প্রাণীর আদল, নিসর্গদৃশ্য, ফুল, পাখি ইত্যাদি। তিনি নিজের প্রতিকৃতিও এঁকেছেন।

 

নন্দনতাত্ত্বিক ও বর্ণ পরিকল্পনার দিক থেকে তার চিত্রকলা বেশ অদ্ভুত ধরনেরই বলে মনে হয়। তবে তিনি একাধিক অঙ্কনশৈলী রপ্ত করেছিলেন।তন্মধ্যে, কয়েকটি শৈলী হল- নিউ আয়ারল্যান্ডের হস্তশিল্প, কানাডার (ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশ) পশ্চিম উপকূলের “হাইদা” খোদাইশিল্প ও ম্যাক্স পেকস্টাইনের কাঠখোদাই শিল্প।

মন্তব্য করুন