একদা তুমি প্রিয়ে , প্রেম ২৯৩ | Ekoda tumi priye

একদা তুমি প্রিয়ে , প্রেম ২৯৩ | Ekoda tumi priye  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

 

একদা তুমি প্রিয়ে , প্রেম ২৯৩ | Ekoda tumi priye

রাগ: কাফি

তাল: অর্ধঝাঁপ

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): কার্তিক, ১৩২৪

 

একদা তুমি প্রিয়ে , প্রেম ২৯৩ | Ekoda tumi priye
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

একদা তুমি প্রিয়ে:

 

একদা তুমি, প্রিয়ে, আমারি এ তরুমূলে

বসেছ ফুলসাজে সে কথা যে গেছ ভুলে॥

সেথা যে বহে নদী নিরবধি সে ভোলে নি,

তারি যে স্রোতে আঁকা বাঁকা বাঁকা তব বেণী,

তোমারি পদরেখা আছে লেখা তারি কূলে।

আজি কি সবই ফাঁকি– সে কথা কি গেছ ভুলে॥

গেঁথেছ যে রাগিণী একাকিনী দিনে দিনে

আজিও যায় ব্যেপে কেঁপে কেঁপে তৃণে তৃণে।

গাঁথিতে যে আঁচলে ছায়াতলে ফুলমালা

তাহারি পরশন হরষন- সুধা-ঢালা

ফাগুন আজো যে রে খুঁজে ফেরে চাঁপাফুলে।

আজি কি সবই ফাঁকি– সে কথা কি গেছ ভুলে॥

 

একদা তুমি প্রিয়ে , প্রেম ২৯৩ | Ekoda tumi priye
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।

১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

একদা তুমি প্রিয়ে , প্রেম ২৯৩ | Ekoda tumi priye
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন