এবার নীরব করে দাও , পূজা ২৫৪ | Ebar nirob kore dao

এবার নীরব করে দাও , পূজা ২৫৪ | Ebar nirob kore dao  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়।

এবার নীরব করে দাও , পূজা ২৫৪ | Ebar nirob kore dao
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

এবার নীরব করে দাও , পূজা ২৫৪ | Ebar nirob kore dao

রাগ: দরবারী কানাড়া

তাল: ত্রিতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৩০ চৈত্র, ১৩১৬

 

এবার নীরব করে দাও , পূজা ২৫৪ | Ebar nirob kore dao
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

এবার নীরব করে দাও:

 

এবার নীরব করে দাও হে তোমার মুখর কবিরে।

তার হৃদয়-বাঁশি আপনি কেড়ে বাজাও গভীরে॥

নিশীথরাতের নিবিড় সুরে বাঁশিতে তান দাও হে পুরে

যে তান দিয়ে অবাক কর’ গ্রহশশীরে॥

যা-কিছু মোর ছড়িয়ে আছে জীবন-মরণে,

গানের টানে মিলুক এসে তোমার চরণে।

বহুদিনের বাক্যরাশি এক নিমেষে যাবে ভাসি–

একলা বসে শুনব বাঁশি অকূল তিমিরে॥

 

এবার নীরব করে দাও , পূজা ২৫৪ | Ebar nirob kore dao
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন