এ মণিহার আমায় নাহি সাজে | Ae monihar amay nohi shaje রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এফআরএএস (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ,৩৮টি নাটক,১৩টি উপন্যাসও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়।
এ মণিহার আমায় নাহি সাজে | Ae monihar amay nohi shaje
রাগ: ইমনকল্যাণ | তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৮ ভাদ্র, ১৩২০
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২৪ অগাস্ট, ১৯১৩
রচনাস্থান: Chyene Walk, লন্ডন
স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
এ মণিহার আমায় নাহি সাজে :
এ মণিহার আমায় নাহি সাজে–
এরে পরতে গেলে লাগে, এরে ছিঁড়তে গেলে বাজে ॥
কণ্ঠ যে রোধ করে, সুর তো নাহি সরে–
ওই দিকে যে মন পড়ে রয়, মন লাগে না কাজে ॥
তাই তো বসে আছি,
এ হার তোমায় পরাই যদি তবেই আমি বাঁচি।
ফুলমালার ডোরে বরিয়া লও মোরে–
তোমার কাছে দেখাই নে মুখ মণিমালার লাজে ॥
রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন।
আরও দেখুন:
- কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া | Kotobar vebechinu apna vulia
- আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি , গীতালি ৬৪ | Ami hridoyete poth ketechi
- এবার দুঃখ আমার অসীম পাথার , পূজা ২৩৩ | Ebar dukkho amar oshim pathor
- এই যে কালো মাটির বাসা , পূজা ২৩৩ | Ei je kalo matir basha
- যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে , স্বদেশ ২৩৪ | Jodi tor daak shune keo na ashe