গীতালি (১৯১৪) কাব্যগ্রন্থের একটি প্রেম-অনুভূতিপূর্ণ কবিতা। এখানে কবি হৃদয়ের অন্তরঙ্গ বাসিন্দাকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করছেন—আজ কেন তার হাসি নেই, কেন প্রাণের বাঁশি বাজছে না। কবিতাটি প্রতীক্ষা, অভিমান এবং মমতার আবহে পূর্ণ।
Table of Contents
কবিতার মৌলিক তথ্য
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগ্রন্থ: গীতালি
কবিতার নাম: ওগো আমার হৃদয়বাসী
প্রকাশকাল: ১৯১৪
বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি: প্রেম, প্রতীক্ষা, অভিমান
ওগো আমার হৃদয়বাসী – কবিতার পাঠ
ও গো আমার হৃদয়বাসী,
আজ কেন নাই তোমার হাসি।
সন্ধ্যা হল কালো মেঘে,
চাঁদের চোখে আঁধার লেগে–
বাজল না আজ প্রাণের বাঁশি।
রেখেছি এই প্রদীপ মেজে,
জ্বালিয়ে দিলেই জ্বলবে সে যে।
একটুকু মন দিলেই তবে
তোমার মালা গাঁথা হবে,
তোলা আছে ফুলের রাশি।
ভাবার্থ
কবি তাঁর হৃদয়ের প্রিয়জনকে উদ্দেশ্য করে এক ধরনের অভিমান প্রকাশ করছেন। সন্ধ্যার আকাশে কালো মেঘ জমেছে, চাঁদের চোখে আঁধার নেমেছে—যেন পরিবেশও বিষণ্ণ। এই অন্ধকারে প্রাণের বাঁশি বাজছে না। কবি প্রতীক্ষায় আছেন, প্রদীপ মেজে রেখেছেন, ফুল সংগ্রহ করেছেন, শুধু প্রিয়জনের সামান্য সাড়া পেলেই সবকিছু আলোকিত হয়ে উঠবে।
শব্দার্থ
হৃদয়বাসী: হৃদয়ে বসবাসকারী প্রিয়জন
প্রাণের বাঁশি: আনন্দ ও প্রেমের প্রতীক
প্রদীপ মেজে: প্রদীপ পরিষ্কার করে রাখা, আলো জ্বালানোর প্রস্তুতি
মালা গাঁথা: ফুলের মালা তৈরি করা, এখানে স্নেহ ও প্রেমের প্রতীক
ফুলের রাশি: প্রচুর ফুলের সংগ্রহ