ওগো কাঙাল, আ-মারে , প্রেম ৩৫ | Ogo kangal রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।
ওগো কাঙাল, আমারে , প্রেম ৩৫ | Ogo kangal
রাগ: ভৈরবী
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২ আশ্বিন, ১৩০৪
ও গো কাঙাল, আ-মারে:
ওগো কাঙাল, আমারে কাঙাল করেছ, আরো কী তোমার চাই।
ওগো ভিখারি আমার ভিখারি, চলেছ কী কাতর গান গাই’॥
প্রতিদিন প্রাতে নব নব ধনে তুষিব তোমারে সাধ ছিল মনে
ভিখারি আমার ভিখারি,
হায় পলকে সকলই সঁপেছি চরণে, আর তো কিছুই নাই॥
আমি আমার বুকের আঁচল ঘেরিয়া তোমারে পরানু বাস।
আমি আমার ভুবন শূন্য করেছি তোমার পুরাতে আশ।
হেরো মম প্রাণ মন যৌবন নব করপুটতলে পড়ে আছে তব–
ভিখারি আমার ভিখারি,
হায় আরো যদি চাও মোরে কিছু দাও, ফিরে আমি দিব তাই॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়।
১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও দেখুনঃ
- আমি ফুল তুলিতে , প্রেম ৩৪৪ | Ami ful tulite
- আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি , প্রেম ১৪৩ | Ami nishidin tomay valobashi
- আমি নিশি নিশি , প্রেম ৩০৩ | Ami nishi nishi
- আমি তোমার সঙ্গে , প্রেম ২২২ | Ami tomar shonge
- আমি চিনি গো , প্রেম ৮৬ | Ami chini go