কাঁদার সময় অল্প , প্রেম ১৬৮ | Kadar shomoy olpo রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।
কাঁদার সময় অল্প , প্রেম ১৬৮ | Kadar shomoy olpo
রাগ: কালাংড়া-ভৈরবী
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৮ চৈত্র, ১৩৩২
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১ এপ্রিল, ১৯২৬

কাঁদার সময় অল্প:
কাঁদার সময় অল্প ওরে, ভোলার সময় বড়ো
যাবার দিনে শুকনো বকুল মিথ্যে করিস জড়ো ॥
আগমনীর নাচের তালে নতুন মুকুল নামল ডালে,
নিঠুর হাওয়ায় পুরানো ফুল ওই-যে পড়ো-পড়ো ॥
ছিন্নবাঁধন পান্থরা যায় ছায়ার পানে চলে,
কান্না তাদের রইল পড়ে শীর্ণ তৃণের কোলে।
জীর্ণ পাতা উড়িয়ে ফেলা খেল্, কবি, সেই শিশুর খেলা–
নতুন গানে কাঁচা সুরের প্রাণের বেদী গড়ো ॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।
১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।