কেন বাজাও কাঁকন , প্রেম ১২৩ | Keno bajao kakon

কেন বাজাও কাঁকন , প্রেম ১২৩ | Keno bajao kakon  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়।

 

কেন বাজাও কাঁকন , প্রেম ১২৩ | Keno bajao kakon

রাগ: কাফি

তাল: তেওরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): আশ্বিন, ১৩০৪

 

কেন বাজাও কাঁকন , প্রেম ১২৩ | Keno bajao kakon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

কেন বাজাও কাঁকন:

 

কেন বাজাও কাঁকন কনকন কত ছলভরে।

ওগো, ঘরে ফিরে চলো কনককলসে জল ভরে॥

কেন জলে ঢেউ তুলি ছলকি ছলকি করে খেলা।

কেন চাহ খনে খনে চকিত নয়নে কার তরে কত ছলভরে॥

হেরো যমুনা-বেলায় আলসে হেলায় গেল বেলা,

যত হাসিভরা ঢেউ করে কানাকানি কলস্বরে কত ছলভরে।

হেরো নদীপরপারে গগনকিনারে মেঘমেলা,

তারা হাসিয়া হাসিয়া চাহিছে তোমারি মুখ’পরে কত ছলভরে॥

 

কেন বাজাও কাঁকন , প্রেম ১২৩ | Keno bajao kakon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।

 

রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।

 

কেন বাজাও কাঁকন , প্রেম ১২৩ | Keno bajao kakon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন