গীতাঞ্জলি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ। এই বইয়ে মোট ১৫৭টি গীতিকবিতা সংকলিত হয়েছে। কবিতাগুলি ব্রাহ্ম-ভাবাপন্ন ভক্তিমূলক রচনা। এর বেশিরভাগ কবিতাতেই রবীন্দ্রনাথ নিজে সুরারোপ করেছিলেন। ১৯০৮-০৯ সালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই কবিতাগুলি প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯১০ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথের সং অফারিংস কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এতে গীতাঞ্জলি ও সমসাময়িক আরও কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের কবিতা রবীন্দ্রনাথ নিজে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। ১৯১৩ সালে ইংরেজি কাব্যগ্রন্থটির জন্য রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
২০১০ সালে গীতাঞ্জলি প্রকাশের শতবর্ষ-পুর্তি উপলক্ষে কলকাতা মেট্রোর নাকতলা স্টেশনটির নামকরণ করা হয় “গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন”।

১৯০৮ সালের পূজার ছুটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে গিয়েছিলেন। ছুটির পর ফিরে শান্তিনিকেতনে একটানা পাঁচ মাস ছিলেন। এই সময় তিনি তার বিখ্যাত শান্তিনিকেতন প্রবন্ধ গ্রন্থটি রচনা করেন। পরের বছর বর্ষা ও শরৎ কালে তিনি কিছুদিন শিলাইদহে গিয়েছিলেন। ফিরে কিছুদিন কলকাতায় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কাটান। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের কবিতা ও গানগুলি শিলাইদহ, শান্তিনিকেতন ও কলকাতায় রচিত হয়। জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ এই সময় কঠোর নিরামিশাষী ছিলেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশ্রম পরিচালনার আদেশগুলি এই সময় তিনি কঠোরভাবে মেনে চলতেন। এমনকি অসুস্থতার সময় ডাক্তার আমিষ খাওয়ার পরামর্শ দিলেও, তিনি তা শোনেননি।

গীতাঞ্জলি কবিতা সূচি:
- অন্তর মম বিকশিত করো
- অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
- আকাশতলে উঠল ফুটে
- আছে আমার হৃদয় আছে ভরে
- আজ ধানের খেতে রৌদ্রছায়ায়
- আজ বারি ঝরে ঝর ঝর
- আজ বরষার রূপ হেরি
- আজি ঝড়ের রাতে
- আজি শ্রাবণ-ঘন-গহন
- আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে
- আজি গন্ধবিধুর সমীরণে
- আনন্দেরই সাগর থেকে
- আবার এরা ঘিরেছে মোর মন
- আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে
- আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ
- আমার নয়ন-ভুলানো এলে
- আমার মাথা নত করে
- আমার এ গান ছেড়েছে তার
- আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু
- আমার নামটা দিয়ে
- আমার মাঝে তোমার লীলা হবে
- আমার মিলন লাগি তুমি আসছ কবে থেকে
- আমার খেলা যখন ছিল
- আমার একলা ঘরের আড়াল ভেঙে
- আমার চিত্ত তোমায় নিত্য হবে
- আমারে যদি জাগালে আজি নাথ

- আমি বহু বাসনায়
- আমি চেয়ে আছি তোমাদের সবাপানে
- আমি হেথায় থাকি শুধু
- আর নাই রে বেলা
- আর আমায় আমি নিজের শিরে বইব না
- আরো আঘাত সইবে আমার
- আলোয় আলোকময় করে হে
- আষাঢ়সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল
- আসনতলের মাটির ‘পরে লুটিয়ে রব
- উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে
- এই মলিন বস্ত্র ছাড়তে হবে
- এই করেছ ভালো নিঠুর
- এই জ্যোৎস্নারাতে জাগে আমার প্রাণ
- এই তো তোমার প্রেম ওগো হৃদয়হরণ
- এই মোর সাধ যেন এ জীবনমাঝে
- একটি একটি করে তোমার পুরানো তার খোলো
- একটি নমস্কারে প্রভু
- একলা আমি বাহির হলেম তোমার অভিসারে
- একা আমি ফিরব না আর
- এবার নীরব করে দাও হে তোমার
- এসো হে এসো সজল ঘন
- ওই যে তরী দিল খুলে
- ওগো আমার এই জীবনের
- ওগো মৌন না যদি কও
- ওরে মাঝি ওরে আমার
- কত অজানারে জানাইলে
- কথা ছিল এক-তরীতে
- কবে আমি বাহির হলেম
- কে বলে সব ফেলে
- কোথায় আলো
- কোন্ আলোতে প্রাণের প্রদীপ
- গর্ব করে নিই নে ও নাম, জান অন্তর্যামী
- গান গাওয়ালে আমায় তুমি
- গান দিয়ে যে তোমায় খুঁজি বাহির মনে

আরও পড়ুন: