চরণধ্বনি শুনি তব , পূজা ৩৯৯ | Chorondhoni shuni tobo

চরণধ্বনি শুনি তব , পূজা ৩৯৯ | Chorondhoni shuni tobo রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

 

চরণধ্বনি শুনি তব , পূজা ৩৯৯ | Chorondhoni shuni tobo

রাগ: কাফি

তাল: ঝাঁপতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩১৪

 

চরণধ্বনি শুনি তব , পূজা ৩৯৯ | Chorondhoni shuni tobo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

চরণধ্বনি শুনি তব:

 

চরণধ্বনি শুনি তব, নাথ, জীবনতীরে

কত নীরব নির্জনে কত মধুসমীরে ॥

গগনে গ্রহতারাচয় অনিমেষে চাহি রয়,

ভাবনাস্রোত হৃদয়ে বয় ধীরে একান্তে ধীরে ॥

চাহিয়া রহে আঁখি মম তৃষ্ঞাতুর পাখিসম,

শ্রবণ রয়েছি মেলি চিত্তগভীরে–

কোন্‌ শুভপ্রাতে দাঁড়াবে হৃদিমাঝে,

ভুলিব সব দুঃখ সুখ ডুবিয়া আনন্দনীরে ॥

 

 

‘রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি। রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। এছাড়া ভারতের জাতীয় স্তোত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম্‌ গানটিতে রবীন্দ্রনাথই সুরারোপ করেছিলেন।

চরণধ্বনি শুনি তব , পূজা ৩৯৯ | Chorondhoni shuni tobo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন