তাঁহারে আরতি করে , পূজা ৪৭৫ | Tahare aroti kore রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।
তাঁহারে আরতি করে , পূজা ৪৭৫ | Tahare aroti kore
রাগ: বড়হংস-সারং
তাল: চৌতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯১

তাঁহারে আরতি করে:
তাঁহারে আরতি করে চন্দ্র তপন, দেব মানব বন্দে চরণ–
আসীন সেই বিশ্বশরণ তাঁর জগতমন্দিরে ॥
অনাদিকাল অনন্তগগন সেই অসীম-মহিমা-মগন–
তাহে তরঙ্গ উঠে সঘন আনন্দ-নন্দ-নন্দ রে ॥
হাতে লয়ে ছয় ঋতুর ডালিপায়ে দেয় ধরা কুসুম ঢালি–
কতই বরণ, কতই গন্ধ কত গীত কত ছন্দ রে ॥
বিহগগীত গগন ছায়– জলদ গায়, জলধি গায়–
মহাপবন হরষে ধায়, গাহে গিরিকন্দরে।
কত কত শত ভকত প্রাণ হেরিছে পুলকে, গাহিছে গান–
পুণ্য কিরণে ফুটিছে প্রেম, টুটিছে মোহবন্ধ রে ॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়।