তোমায় গান শুনাবো তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখো | Tomay gaan shonabo taito amay jagiye rakho গানটি প্রেম পর্বের গান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।
তোমায় গান শুনাবো তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখো ,প্রেম | Tomay gaan shonabo taito amay jagiye rakho
তোমায় গান শুনাবো তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখো :
তোমায় গান শোনাবো , তাইতো আমায়
জাগিয়ে রাখো
ওগো ঘুম ভাঙানিয়া , তোমায় গান
শোনাবো . . .
চমক দিয়ে তাইতো ডাকো ,
বুকে চমক দিয়ে তাইতো ডাকো
ওগো দুখ জাগানিয়া তোমায় গান
শোনাবো !
এলো আঁধার ঘিরে
পাখী এলো নীড়ে
তরী এলো ফিরে
শুধু আমার হীয়া বিরাম পায়না কো . . .
ওগো দুখ জাগানিয়া তোমায় গান
শোনাবো !
আমার কাজের মাঝে মাঝে
কান্নাধারার দোলা তুমি থামতে দিলে
না যে !
আমায় পরশ করে
প্রাণসুধায় ভরে তুমি যাওযে সরে
বুঝি আমার ব্যাথার আড়ালেতে দাঁড়িয়ে
থাকো
ওগো দুখ জাগানিয়া তোমায় গান
শোনাবো
রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল।কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন।সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন।
এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন।রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত প্রজাতন্ত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।মনে করা হয় শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত শ্রীলঙ্কা মাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়ে লেখা হয়েছে।
আরও দেখুন :
- আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যকুল , প্রেম ৩৭৯ | Ami hridoyer kotha bolite bekul
- পুরানো সেই দিনের কথা , প্রেম ও প্রকৃতি ৩৪ | Purono sei diner kotha
- আজি বিজন ঘরে নিশিথ রাতে , পূজা ২০২ | Aji bijon ghore nishith raate
- আমার এ পথ চাওয়াতে আনন্দ , পূজা ৫৫৯ | Amar ae poth chawate anondo
- প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে , পূজা ১০৯ | Pran voriye trishna hariye