রবীন্দ্রনাথের নাট্যগীতি সূচী বা রবীন্দ্র সঙ্গীতে নাট্যগীতি । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২। তার গানের কথায় উপনিষদ্, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসংগীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সংগীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
রবীন্দ্রনাথের নাট্যগীতি সূচী
অভয় দাও তো বলি আমার wish কি
অসুন্দরের পরম বেদনায়
আঁধার শাখা উজল করি
আজ আমার আনন্দ দেখে কে
আজ আসবে শ্যাম গোকুলে ফিরে
আজি উন্মাদ মধুনিশি, ওগো
আমরা চিত্র অতি বিচিত্র
আমরা দূর আকাশের নেশায় মাতাল
আমরা বসবো তোমার সনে
আমাদের সখীরে কে নিয়ে যাবে রে
আমার নিকড়িয়া-রসের রসিক
আমার মনের বাঁধন ঘুচে যাবে যদি
আমি কেবল ফুল জোগাব
আয় রে আয় রে সাঁঝের
আর কি আমি ছাড়ব তোরে
ইচ্ছে! – ইচ্ছে
উলঙ্গিনী নাচে রণরঙ্গে
এ কি সত্য সকলই সত্য
এই একলা মোদের হাজার মানুষ
এই তো ভরা হল ফুলে ফুলে
একদা প্রাতে কুঞ্জতলে
এত ফুল কে ফোটালে কাননে
এতদিন পরে মোরে
এবার চলিনু তবে
ও কী কোথা বল, সখী
ও কেন ভালোবাসা জানাতে আসে
ও তো আর ফিরবে না রে
ওই আঁখিরে
ওই জানালার কাছে বসে আছে
ওগো দয়াময়ী চোর
ওগো হৃদয়বনের শিকারী
ওর মানের এ বাঁধ টুটবে না কি
কত কাল রবে বল ভারত রে
কত দিন একসাথে ছিনু ঘুমঘোরে
কথা কোস নে লো রাই
কবরীতে ফুল শুকালো
কাছে তার যাই যদি
কাজ ভোলাবার কে গো তোরা
কার হাতে যে ধরা দেব প্রাণ
কিছুই ত হল না
কী করিব বলো সখা
কী জানি কী ভেবেছ মনে
কে তুমি গো খুলিয়াছ স্বর্গের দুয়ার
কেন নিবে গেল বাতি
কেন রে চাস ফিরে ফিরে
কোথা ছিলি সজনী লো
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার
ক্ষমা করো মোরে, সখি
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে
খেলা কর্– খেলা কর্
গুরুপদে মন করো অর্পণ
চলেছে ছুটিয়া পলাতকা হিয়া
চলো নিয়মমতে
চিঁড়েতন হর্তন ইস্কাবন
চির-পুরানো চাঁদ
জয় জয় জয় হে জয় জ্যোতির্ময়
জয় জয় তাসবংশ-অবতংস
জ্বল জ্বল চিতা, দ্বিগুণ দ্বিগুণ
ঝর ঝর রক্ত ঝরে
তরুতলে ছিন্নবৃন্ত মালতীর ফুল
তুই রে বসন্ত সমীরণ
তুমি আছ কোন পাড়া
তুমি আমায় করবে মস্ত লোক
তুমি পড়িতেছ হেসে
তোমায় সাজাব যতনে
তোমার কটি-তটের ধটি
তোলন-নামন পিছন-সামন
থাকতে আর তো পারলি নে মা
দয়া করো, দয়া করো প্রভু
দেখব কে তোর কাছে আসে
দেখো ওই কে এসেছে
ধীরে ধীরে প্রাণ আমার
নমো নমো সচীচিতরঞ্জন
নহ মাতা, নহ কন্যা, নহ বধু
না সখা মনের ব্যথা
নাচ, শ্যামা, তালে তালে
নীরব রজনী দেখো মগ্ন জোছনায়
নূতন পথের পথিক হয়ে আসে
পথে যেতে তোমার সাথে
পাছে চেয়ে বসে আমার মন
পোড়া মনে শুধু পোড়া মুখখানি জাগে রে
প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন
প্রহরশেষের আলোয় রাঙা
প্রিয়ে তোমার ঢেঁকি হলে
বঁধুয়া, অসময়ে কেন হে প্রকাশ
বঁধুর লাগি কেশে আমি পরব এমন ফুল
বড়ো থাকি কাছাকাছি
বন্ধু, কিসের তরে অশ্রু ঝরে
বলেছিল “ধরা দেব না”
বসন্ত-প্রভাতে এক মালতীর ফুল
বাঁধন কেন ভূষণ-বেশে
বাজে রে বাজে ডমরু বাজে
বাজে রে, বাজে রে ওই
বাজো রে বাঁশরী, বাজো
বাহির হলেম আমি আপন
বিপাশার তীরে ভ্রমিবারে যাই
বিরহে মরিব বলে
বুঝেছি বুঝেছি সখা
ভাঙ্গা দেউলের দেবতা
ভালো যদি বাস সখী
ভালোবাসিলে যদি সে
ভিক্ষে দে গো, ভিক্ষে দে
ভুলে ভুলে আজ ভুলময়
মধুঋতু নিত্য হয়ে রইল তোমার
মধুর মিলন
মনোমন্দিরসুন্দরী
মলিন মুখে ফুটুক হাসি
মা আমার, কেন তোরে ম্লান নেহারি
মা, একবার দাঁড়া গো হেরি
মোরা চলব না
যখন দেখা দাও নি রাধা
যদি জোটে রোজ
যারে মরণদশায় ধরে
যে ভালোবাসুক সে ভালোবাসুক
যেখানে রূপের প্রভা নয়ন-লোভা
যোগী হে, কে তুমি হৃদি-আসনে
রাজ-অধিকার, তব ভালে জয়মালা
রাজরাজেন্দ্র জয় জয়তু জয় হে
শুনি ওই রুনুঝুনু
শেষ ফলনের ফসল এবার
শোন্ রে শোন, অবোধ মন
সকলি ভুলেছে ভোলা মন
সখা, সাধিতে সাধাতে কত সুখ
সখী, আর কত দিন, সুখহীন শান্তিহীন
সখী, ভাবনা কাহারে বলে
সাধ করে কেন, সখা, ঘটাবে গেরো
সুরের জালে কে জড়ালে আমার মন
সে আসি কহিল, প্রিয়ে
স্বর্গে তোমায় নিয়ে যাবে উড়িয়ে
হা, কে বলে দেবে
হাঁচ্ছঃ !-ভয় কী দেখাচ্ছ
হা-আ-আ-আই
হৃদয়ে রাখো গো, দেবী, চরণ তোমার
আরও দেখুন: