পাছে সুর ভুলি , প্রেম ২৭ | Pache shur bhuli

পাছে সুর ভুলি , প্রেম ২৭ | Pache shur bhuli  রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

 

পাছে সুর ভুলি , প্রেম ২৭ | Pache shur bhuli

রাগ: কেদারা

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৪ অগ্রহায়ণ, ১৩২৮

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২০ নভেম্বর, ১৯২১

 

পাছে সুর ভুলি , প্রেম ২৭ | Pache shur bhuli
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

পাছে সুর ভুলি:

পাছে সুর ভুলি এই ভয় হয়–

পাছে ছিন্ন তারের জয় হয়॥

পাছে উৎসবক্ষণ তন্দ্রালসে হয় নিমগন, পুণ্য লগন

হেলায় খেলায় ক্ষয় হয়–

পাছে বিনা গানেই মিলনবেলা ক্ষয় হয়॥

যখন তাণ্ডবে মোর ডাক পড়ে

পাছে তার তালে মোর তাল না মেলে সেই ঝড়ে।

যখন মরণ এসে ডাকবে শেষে বরণ-গানে, পাছে প্রাণে

মোর বাণী সব লয় হয়–

পাছে বিনা গানেই বিদায়বেলা লয় হয়॥

 

পাছে সুর ভুলি , প্রেম ২৭ | Pache shur bhuli
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

 

পাছে সুর ভুলি , প্রেম ২৭ | Pache shur bhuli
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুন:

মন্তব্য করুন