পুষ্প দিয়ে মার , পূজা ৫৯২ | Pushpo diye maro রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
পুষ্প দিয়ে মার , পূজা ৫৯২ | Pushpo diye maro
রাগ: ছায়ানট
তাল: কাহারবা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৯ আশ্বিন, ১৩২১
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৬ অক্টোবর, ১৯১৪
পুষ্প দিয়ে মার:
পুষ্প দিয়ে মার যারে চিনল না সে মরণকে।
বাণ খেয়ে যে পড়ে সে যে ধরে তোমার চরণকে॥
সবার নীচে ধুলার ‘পরে ফেলো যারে মৃত্যু-শরে
সে যে তোমার কোলে পড়ে, ভয় কী বা তার পড়নকে?।
আরামে যার আঘাত ঢাকা, কলঙ্ক যার সুগন্ধ,
নয়ন মেলে দেখল না সে রুদ্র মুখের আনন্দ।
মজল না সে চোখের জলে, পৌঁছল না চরণতলে,
তিলে তিলে পলে পলে ম’ল যেজন পালঙ্কে॥
রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।
রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।
আরও দেখুনঃ