রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানসমূহ তার ভাবজগৎ, দর্শন ও জীবনবোধের এক বিশাল নিদর্শন। তার রচিত গানের এক বিশেষ পর্যায় হলো “পূজা পর্যায়ের গান”, যা মূলত ভক্তিমূলক ও আত্মিক সাধনার আবহে রচিত। এই পর্যায়ের গানগুলোতে মানুষ ও স্রষ্টার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক, আত্মসমর্পণ, প্রার্থনা, ঈশ্বরপ্রেম ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ‘গীতবিতান’-এ পূজা পর্যায়ের গানগুলোর একটি সংগঠিত সূচী রয়েছে, যেখানে রবীন্দ্রনাথের ভক্তি, ধ্যান, তপস্যা ও বিশ্বনিয়ন্ত্রকের প্রতি অনুরাগের ছায়া স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। এই গানগুলি বাঙালি সংস্কৃতির ধারায় গভীর প্রভাব রেখেছে এবং আজও শ্রোতাদের অন্তরে ঈশ্বরানুভূতির জাগরণ ঘটায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২। তার গানের কথায় উপনিষদ্, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসংগীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সংগীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।
তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত। ৬৪ খণ্ডে প্রকাশিত স্বরবিতান গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় গানের স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
Table of Contents
রবীন্দ্রনাথের পূজা পর্যায়ের গানের সূচী :
অ
- অকারণে অকালে মোর
- অগ্নিবীণা বাজাও তুমি
- অচেনাকে ভয় কী
- অনিমেষ আঁখি সেই
- অনেক দিনের শূন্যতা মোর
- অনেক দিয়েছ নাথ
- অন্তর মম বিকশিত
- অন্তরে জাগিছ অন্তরযামী
- অন্ধকারের উৎস-হতে
- অন্ধকারের মাঝে আমায়
- অন্ধজনে দেহো আলো
- অমন আড়াল দিয়ে
- অমল কমল সহজে
- অমৃতের সাগরে
- অরূপ, তোমার বাণী
- অরূপবীণা রূপের আড়ালে
- অল্প লইয়া থাকি
- অশ্রুনদীর সুদূর পারে
- অসীম আকাশে অগণ্য কিরণ
- অসীম কালসাগরে
- অসীম ধন তো
আ
- আঁখিজল মুছাইলে
- আঁধার এলে বলে
- আঁধার রজনী পোহালো
- আঁধার রাতে একলা
- আকাশ জুড়ে শুনিনু
- আকাশে দুই হাতে
- আগুনে হল আগুনময়
- আগুনের পরশমণি
- আঘাত করে নিলে
- আছ অন্তরে চিরদিন
- আছ আপন মহিমা লয়ে
- আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু
- আজ জ্যোৎস্নারাতে
- আজকে মোরে বোলো না
- আজি এ আনন্দসন্ধ্যা
- আজি কোন্ ধন হতে
- আজি নাহি নাহি নিদ্রা
- আজি নির্ভয়নিদ্রিত
- আজি প্রণমি তোমারে
- আজি বহিছে বসন্তপবন
- আজি বিজন ঘরে
- আজি মম জীবনে
- আজি মম মন চাহে
- আজি মর্মরধ্বনি কেন
- আজি যত তারা
- আজি শুভ শুভ্র প্রাতে
- আজি হেরি সংসার
- আজিকে এই সকালবেলাতে
- আনন্দ গান উঠুক তবে বাজি
- আনন্দ তুমি স্বামি
- আনন্দ রয়েছে জাগি
- আনন্দগান উঠুক তবে বাজি
- আনন্দধারা বহিছে ভুবনে
- আনন্দলোকে
- আপন হতে বাহির হয়ে
- আপনাকে এই জানা
- আপনারে দিয়ে রচিলি
- আপনি আমার কোন্খানে
- আবার এরা ঘিরেছে
- আবার যদি ইচ্ছা কর
- আমরা তারেই জানি
- আমাদের খেপিয়ে বেড়ায়
- আমায় অভিমানের বদলে
- আমায় দাও গো বলে
- আমায় বাঁধবে যদি
- আমায় ভুলতে দিতে
- আমায় মুক্তি যদি দাও
- আমার আঁধার ভালো
- আমার আর হবে
- আমার এ ঘরে
- আমার এই পথ-চাওয়াতেই
- আমার কণ্ঠ তাঁরে ডাকে
- আমার খেলা যখন
- আমার গোধূলিলগন
- আমার ঢালা গানের ধারা
- আমার না-বলা বাণীর
- আমার পথে পথে
- আমার প্রাণে গভীর গোপন
- আমার প্রাণের মানুষ
- আমার বাণী আমার
- আমার বিচার তুমি করো
- আমার বেলা যে যায়
- আমার ব্যথা যখন
- আমার ভাঙা পথের
- আমার মন তুমি
- আমার মন, যখন
- আমার মাঝে তোমারি মায়া
- আমার মাথা নত করে
- আমার মিলন লাগি
- আমার মুক্তি আলোয় আলোয়
- আমার মুখের কথা
- আমার যা আছে
- আমার যাবার বেলাতে
- আমার যে আসে কাছে
- আমার যে গান
- আমার যে সব
- আমার সকল কাঁটা
- আমার সকল দুখের প্রদীপ
- আমার সকল রসের ধারা
- আমার সত্য মিথ্যা
- আমার সুরে লাগে
- আমার হিয়ার মাঝে
- আমার হৃদয়
- আমার হৃদয়সমুদ্রতীরে
- আমার হৃদয়েতে
- আমারে কে নিবি
- আমারে তুমি অশেষ
- আমারে তুমি কিসের ছলে
- আমারে দিই তোমার
- আমারে পাড়ায় পাড়ায়
- আমি আছি তোমার
- আমি কান পেতে
- আমি কারে ডাকি গো
- আমি কী বলে
- আমি কেমন করিয়া
- আমি জেনে শুনে
- আমি জ্বালব না মোর
- আমি তারেই খুঁজে
- আমি তারেই জানি
- আমি তোমায় যত
- আমি দীন, অতি দীন
- আমি বহু বাসনায়
- আমি মারের সাগর
- আমি যখন ছিলেম
- আমি যখন তাঁর দুয়ারে
- আমি সংসারে মন দিয়েছিনু
- আমি হেথায় থাকি
- আর কত দূরে
- আর নহে, আর নয়
- আর রেখো না
- আরাম-ভাঙা উদাস সুরে
- আরো আঘাত সইবে আমার
- আরো আরো প্রভু
- আরো চাই যে
- আলো যে আজ
- আলোকের এই ঝর্নাধারায়
- আলোয় আলোকময় করে
- আসা-যাওয়ার মাঝখানে
ই
- ইচ্ছা যবে হবে
উ
- উড়িয়ে ধ্বজা
এ
- এ অন্ধকার ডুবাও
- এ আবরণ ক্ষয় হবে
- এ কী সুগন্ধহিল্লোল
- এ দিন আজি
- এ পথ গেছে কোন্খানে
- এ পরবাসে
- এ মণিহার আমায় নাহি
- এ মোহ-আবরণ
- এ যে মোর আবরণ
- এই আসা-যাওয়ার
- এই কথাটা ধরে রাখিস
- এই করেছ ভালো
- এই তো তোমার
- এই মলিন বস্ত্র
- এই লভিনু সঙ্গ
- এই-যে কালো মাটির বাসা
- এই-যে তোমার
- এক হাতে ওর কৃপাণ
- একটি নমস্কারে
- একমনে তোর একতারাতে
- একি এ সুন্দর
- একি করুণা করুণাময়
- একি লাবণ্যে পূর্ণ
- এখন আমার সময়
- এখনো আঁধার রয়েছে
- এখনো গেল না আঁধার
- এখনো ঘোর
- এত আনন্দধ্বনি উঠিল কোথায়
- এতো আলো জ্বালিয়েছ
- এবার আমায় ডাকলে দূরে
- এবার দুঃখ আমার
- এবার নীরব করে দাও
- এবার রঙিয়ে গেল
- এমনি করে ঘুরিব দূরে
- এরে ভিখারি সাজায়ে
- এসেছে সকলে কত আশে
ও
- ও অকূলের কূল
- ও নিঠুর
- ওই অমল হাতে
- ওই আলো যে
- ওই আসনতলের
- ওই পোহাইল তিমিররাতি
- ওই মরণের সাগরপারে
- ওই রে তরী
- ওই শুনি যেন
- ওগো আমার প্রাণের
- ওগো সুন্দর, একদা
- ওগো, পথের সাথি
- ওঠো ওঠো রে
- ওদের কথায় ধাঁদা লাগে
- ওদের সাথে মেলাও
- ওরে পথিক, ওরে
- ওরে ভীরু
- ওরে, আগুন আমার
- ওরে, কে রে
- ওরে, তোরা যারা
- ওহে জীবনবল্লভ
- ওহে সুন্দর, মরি
ক
- কত অজানারে জানাইলে তুমি
- কন্ঠে নিলেম গান
- কবে আমি বাহির হলেম
- কান্নাহাসির-দোল-দোলানো
- কামনা করি একান্তে
- কার মিলন চাও
- কার হাতে এই মালা
- কী গাব আমি
- কী ভয় অভয়ধামে
- কূল থেকে মোর
- কে গো অন্তরতর
- কে জানিত তুমি
- কে বসিলে আজি
- কে যায় অমৃতধামযাত্রী
- কে রে ওই ডাকিছে
- কেন চোখের জলে ভিজিয়ে
- কেন জাগে না
- কেন তোমরা আমায়
- কেন বাণী তব নাহি শুনি
- কেন রে এই
- কেমনে ফিরিয়া যাও
- কেমনে রাখিবি তোরা
- কোথা হতে বাজে
- কোথায় আলো
- কোথায় তুমি, আমি
- কোন্ আলোতে প্রাণের
- কোন্ খেলা যে
- কোন্ শুভখনে
- কোলাহল তো বারণ হল
- ক্লান্তি আমার
ক
- ক্ষত যত ক্ষতি যত
- খেলার ছলে সাজিয়ে
গ
- গভীর রজনী নামিল হৃদয়ে
- গরব মোর হরেছ
- গাও বীণা
- গানে গানে তব বন্ধন
- গানের ঝরনাতলায়
- গানের ভিতর দিয়ে
- গানের সুরের আসনখানি
- গাব তোমার সুরে
- গায়ে আমার পুলক লাগে
ঘ
- ঘাটে বসে আছি
- ঘোর দুঃখে জাগিনু
চ
- চরণ ধরিতে
- চরণধ্বনি শুনি তব
- চলি গো, চলি
- চিরদিবস নব মাধুরী
- চিরবন্ধু চিরনির্ভর
- চিরসখা, ছেড়ো না
- চোখের আলোয় দেখেছিলেম
ছ
- ছিন্ন পাতার সাজাই
জ
- জগৎ জুড়ে উদার সুরে
- জগতে আনন্দযজ্ঞে
- জগতে তুমি রাজা
- জড়ায়ে আছে বাধা
- জননী, তোমার করুণ
- জয় জয় পরমা
- জয় তব বিচিত্র আনন্দ
- জয় ভৈরব
- জয় হোক, জয় হোক
- জরজর প্রাণে, নাথ
- জাগ জাগ রে
- জাগিতে হবে রে
- জাগে নাথ জোছনারাতে
- জাগো নির্মল নে?
- জাগো হে রুদ্র
- জাগ্রত বিশ্বকোলাহল-মাঝে
- জানি গো, দিন
- জানি জানি কোন্
- জানি জানি তোমার
- জানি নাই গো
- জানি হে যবে
- জীবন যখন ছিল
- জীবন যখন শুকায়ে যায়
- জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে
- জীবনে আমার যত
- জীবনে যত পূজা
ড
- ডাকিছ কে তুমি
- ডাকিছ শুনি জাগিনু
- ডাকিল মোরে জাগার
- ডাকে বার বার ডাকে
- ডাকো মোরে আজি
- ডুবি অমৃতপাথারে
ত
- তব অমল পরশরস
- তব সিংহাসনের আসন হতে
- তাঁহারে আরতি করে
- তাই তোমার আনন্দ
- তার অন্ত নাই গো
- তিমিরদুয়ার খোলো
- তিমিরবিভাবরী
- তুই কেবল থাকিস
- তুমি আপনি জাগাও মোরে
- তুমি আমাদের পিতা
- তুমি একলা ঘরে
- তুমি এ-পার ও-পার
- তুমি এবার আমায়
- তুমি কি এসেছ
- তুমি কেমন করে গান
- তুমি খুশি থাক
- তুমি ছেড়ে ছিলে
- তুমি জাগিছ কে
- তুমি জানো, ওগো অন্তর্যামী
- তুমি ডাক দিয়েছ
- তুমি ধন্য ধন্য হে
- তুমি নব নব রূপে
- তুমি বন্ধু, তুমি নাথ
- তুমি বাহির থেকে
- তুমি যত ভার
- তুমি যে আমারে চাও
- তুমি যে এসেছ
- তুমি যে চেয়ে আছ
- তুমি যে সুরের আগুন
- তুমি সুন্দর, যৌবনঘন
- তুমি হঠাৎ-হাওয়ায়
- তোমা লাগি, নাথ
- তোমায় আমায় মিলন হবে
- তোমায় কিছু দেব
- তোমায় চেয়ে আছি
- তোমায় নতুন করেই
- তোমার অসীমে
- তোমার আনন্দ ওই
- তোমার আমার এই
- তোমার এই মাধুরী
- তোমার কথা হেথা
- তোমার কাছে এ বর
- তোমার কাছে শান্তি
- তোমার খোলা হাওয়া
- তোমার দুয়ার খোলার ধ্বনি
- তোমার দেখা পাব বলে
- তোমার দ্বারে কেন আসি
- তোমার নয়ন আমায়
- তোমার পতাকা যারে দাও
- তোমার পূজার ছলে
- তোমার প্রেমে
- তোমার বীণা আমার
- তোমার সুর শুনায়ে
- তোমার সুরের ধারা
- তোমার সোনার থালায়
- তোমার হাতের অরুণলেখা
- তোমার হাতের রাখীখানি
- তোমারি ইচ্ছা হউক
- তোমারি গেহে
- তোমারি ঝরনাতলার
- তোমারি নাম বলব
- তোমারি নামে নয়ন মেলিনু
- তোমারি মধুর রূপে
- তোমারি রাগিণী জীবনকুঞ্জে
- তোমারি সেবক করো
- তোমা-হীন কাটে দিবস
- তোর ভিতরে জাগিয়া
- তোর শিকল আমায়
- তোরা শুনিস নি
দ
- দয়া দিয়ে হবে গো
- দাঁড়াও আমার আঁখির আগে
- দাঁড়াও, মন
- দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার
- দাও হে আমার
- দিন অবসান হল
- দিন ফুরালো হে
- দিন যদি হল
- দিন যায় রে
- দিনের বেলায় বাঁশি
- দীর্ঘ জীবনপথ
- দুঃখ যদি না পাবে তো
- দুঃখ যে তোর
- দুঃখরাতে, হে নাথ
- দুঃখের তিমিরে
- দুঃখের বরষায়
- দুখ দিয়েছ
- দুখের বেশে এসেছ বলে
- দুয়ারে দাও মোরে
- দূরে কোথায় দূরে দূরে
- দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে-দেওয়া
- দেবতা জেনে দূরে
- দেবাধিদেব মহাদেব
ধ
- ধনে জনে আছি
- ধায় যেন মোর
- ধীরে বন্ধু ধীরে ধীরে
- ধ্বনিল আহ্বান মধুর গম্ভীর
ন
- নদীপারের এই আষাঢ়ের
- নব আনন্দে জাগো
- নমি নমি চরণে
- নয় এ মধুর খেলা
- নয়ন ছেড়ে গেলে চলে
- নয়ন তোমারে
- নয়ান ভাসিল জলে
- না বাঁচাবে আমায়
- না রে, না
- নাই বা ডাকো
- নাথ হে, প্রেমপথে
- নিকটে দেখিব তোমারে
- নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে
- নিত্য নব সত্য তব
- নিবিড় ঘন আঁধারে
- নিভৃত প্রাণের দেবতা
- নিশা-অবসানে কে দিল
- নিশার স্বপন ছুটল রে
- নিশিদিন চাহো রে
- নিশিদিন মোর পরানে
- নিশীথশয়নে ভেবে রাখি
- নীরবে আছ কেন
- নূতন প্রাণ দাও
প
- পথ এখনো শেষ
- পথ চেয়ে যে
- পথ দিয়ে কে
- পথিক্ হে
- পথে চলে যেতে
- পথে যেতে ডেকেছিলে
- পথের শেষ কোথায়
- পদপ্রান্তে রাখ সেবকে
- পাতার ভেলা ভাসাই
- পাত্রখানা যায় যদি
- পান্থ তুমি, পান্থজনের
- পান্থ, এখনো কেন
- পারবি না কি
- পিনাকেতে লাগে টঙ্কার
- পিপাসা হায় নাহি মিটিল
- পুষ্প দিয়ে মার
- পূর্ণ-আনন্দ পূর্ণমঙ্গলরূপে
- পূর্বগগনভাগে
- পেয়েছি অভয়পদ
- পেয়েছি ছুটি, বিদায়
- পেয়েছি সন্ধান তব
- প্রচণ্ড গর্জনে
- প্রতিদিন আমি
- প্রতিদিন তব গাথা
- প্রথম আদি তব শক্তি
- প্রথম আলোর চরণধ্বনি
- প্রভাতে বিমল আনন্দে
- প্রভু আমার
- প্রভু তোমা লাগি
- প্রভু তোমার বীণা
- প্রভু, আজি তোমার
- প্রভু, বলো বলো কবে
- প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
- প্রাণে খুশির তুফান উঠেছে
- প্রাণে গান নাই
- প্রাণের প্রাণ জাগিছে
- প্রেমানন্দে রাখো পূর্ণ
- প্রেমে প্রাণে গানে গন্ধে
ফ
- ফুল বলে
- ফেলে রাখলেই কি পড়ে রবে
ব
- বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি
- বরিষ ধরা-মাঝে
- বর্ষ গেল, বৃথা গেল
- বল দাও মোরে
- বলো তো এইবারের মতো
- বসে আছি হে
- বহে নিরন্তর
- বাঁচান বাঁচি, মারেন মরি
- বাঁধন ছেঁড়ার সাধন
- বাজাও আমারে বাজাও
- বাজাও তুমি, কবি
- বাজে বাজে রম্যবীণা বাজে
- বাণী তব ধায়
- বাধা দিলে বাধবে লড়াই
- বারে বারে পেয়েছি
- বাহিরে ভুল ভাঙবে
- বিপদে মোরে রক্ষা করো
- বিপুল তরঙ্গ রে
- বিমল আনন্দে জাগো রে
- বিশ্ব যখন নিদ্রামগন
- বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ
- বিশ্বসাথে যোগে যেথায়
- বীণা বাজাও হে
- বুঝেছি কি বুঝি নাই
- বেঁধেছ প্রেমের পাশে
- বেলা গেল তোমার
- বেসুর বাজে রে
- ব্যাকুল প্রাণ কোথা
ভ
- ভক্ত করিছে প্রভুর চরণে
- ভক্তহৃদিবিকাশ
- ভয় হতে তব
- ভয় হয় পাছে
- ভয়েরে মোর আঘাত করো
- ভুবন হইতে ভুবনবাসী
- ভুবনজোড়া আসনখানি
- ভুবনেশ্বর হে
- ভুলে যাই থেকে থেকে
- ভেঙে মোর ঘরের চাবি
- ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়
- ভোর হল বিভাবরী
- ভোরের বেলা কখন এসে
ম
- মধুর রূপে বিরাজ
- মধুর, তোমার শেষ
- মন রে ওরে
- মন, জাগ মঙ্গললোকে
- মনোমোহন, গহন যামিনীশেষে
- মন্দিরে মম কে আসিলে
- মম অঙ্গনে স্বামী
- মরণসাগরপারে
- মরণের মুখে রেখে
- মহাবিশ্বে মহাকাশে
- মহারাজ, একি সাজে
- মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
- মালা হতে খসে-পড়া
- মেঘ বলেছে ‘যাব যাব’
- মোর পথিকেরে বুঝি
- মোর প্রভাতের এই
- মোর মরণে
- মোর সন্ধ্যায় তুমি
- মোর হৃদয়ের গোপন বিজন ঘরে
- মোরে ডাকি লয়ে যাও
- মোরে বারে বারে ফিরালে
য
- যখন তুমি বাঁধছিলে তার
- যখন তোমায় আঘাত করি
- যতখন তুমি আমায়
- যতবার আলো
- যদি আমায় তুমি
- যদি এ আমার
- যদি ঝড়ের মেঘের মতো
- যদি তোমার দেখা
- যদি প্রেম দিলে
- যা পেয়েছি প্রথম
- যা হবার তা হবে
- যা হারিয়ে যায়
- যাত্রাবেলায় রুদ্র রবে
- যাদের চাহিয়া
- যারা কথা দিয়ে
- যারা কাছে আছে
- যারে নিজে তুমি
- যিনি সকল কাজের কাজী
- যে থাকে থাক-না দ্বারে
- যে দিন ফুটল কমল
- যে ধ্রুবপদ দিয়েছ বাঁধি
- যে রাতে মোর
- যে-কেহ মোরে
- যেতে যদি হয়
- যেতে যেতে একলা পথে
- যেতে যেতে চায় না
- যেথায় তোমার লুট হতেছে
- যেথায় থাকে সবার অধম
র
- রজনীর শেষ তারা,
রহি রহি আনন্দতরঙ্গ
রাখো রাখো রে জীবনে
রাজপুরীতে বাজায় বাঁশি
রাত্রি এসে যেথায়
রুদ্রবেশে কেমন খেলা
রূপসাগরে ডুব দিয়েছি
ল
- লক্ষ্মী যখন আসবে
লহো লহো তুলি
লহো লহো তুলে
লুকিয়ে আস আঁধার রাতে
শ
- শক্তিরূপে হেরো
শান্ত হ রে মম চিত্ত
শান্তি করো বরিষন
শান্তিসমুদ্র তুমি গভীর
শীতল তব পদছায়া - শুধু কি তার
শুধু তোমার বাণী
শুনেছে তোমার নাম
শুভ নব শঙ্খ তব
শুভ্র আসনে বিরাজ
শূন্য প্রাণ কাঁদে সদা
শূন্য হাতে ফিরি
শেষ নাহি যে
শোনো তাঁর সুধাবাণী
শ্রান্ত কেন ওহে পান্থ
শ্রাবণের ধারার মতো
স
- সংশয়তিমিরমাঝে
সংসার যবে মন
সংসারে কোনো ভয় নাহি
সংসারে তুমি রাখিলে
সকল গর্ব দূর
সকল জনম ভরে
সকল ভয়ের ভয়
সকলকলুষতামসহর
সকাল-সাঁজে ধায় যে
সত্য মঙ্গল প্রেমময়
সদা থাকো আনন্দে
সন্ধ্যা হল গো
সফল করো হে প্রভু
সবাই যারে
সবার মাঝারে তোমারে স্বীকার
সবে আনন্দ করো
সভায় তোমার থাকি
সর্ব খর্বতারে দহে
সহজ হবি - সারা জীবন দিল আলো
সার্থক কর সাধন
সীমার মাঝে, অসীম
সুখহীন নিশিদিন
সুখে আমায় রাখবে কেন
সুন্দর বটে তব
সুন্দর বহে আনন্দমন্দানিল
সুর ভুলে যেই
সুরের গুরু, দাও
সে দিনে আপদ আমার
সে যে মনের
সেই তো আমি চাই
স্বপন যদি ভাঙিলে
স্বামী, তুমি এসো
হ
- হবে জয়, হবে জয়
হরষে জাগি আজি
হাওয়া লাগে গানের
হায় কে দিবে
হার মানালে গো,
হার-মানা হার
হিংসায় উন্মত্ত
হৃদয় আমার প্রকাশ হল
হৃদয়নন্দনবনে
হৃদয়বাসনা পূর্ণ হল
হৃদয়বেদনা বহিয়া
হৃদয়মন্দিরে, প্রাণাধীশ
হৃদয়শশী হৃদিগগনে
হৃদয়ে তোমার দয়া
হৃদয়ে হৃদয় আসি
হৃদিমন্দিরদ্বারে বাজে - হে অন্তরের ধন
হে চিরনূতন
হে নিখিলভারধারণ
হে মহাজীবন
হে মহাদুঃখ
হে মহাপ্রবল বলী
হে মোর দেবতা
হে সখা, মম হৃদয়ে
হেথা যে গান
হেরি অহরহ
হেরি তব বিমলমুখভাতি
আরও পড়ুন:
- সুপ্তোত্থিতা কবিতা [ সোনার তরী ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- সোনার তরী কবিতা [ সোনার তরী ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- আইল শান্ত সন্ধ্যা [ গীতবিতান / পূজা ও প্রার্থনা পর্যায়, ৫৭ ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- অকারণে অকালে মোর পড়ল যখন ডাক [ গীতবিতান / পূজা ও প্রার্থনা পর্যায় / ৫৭ ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- শেষের কবিতা [ Shesher Kobita ] – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর