প্রাণ কবিতা [ Pran Kobita ] – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“প্রাণ” কবিতাটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ কড়ি ও কোমল থেকে নেওয়া হয়েছে। ১৮৮৬ সালে প্রকাশিত এই কাব্যগ্রন্থটি তাঁর কাব্যজীবনের প্রারম্ভিক পর্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি, যেখানে রূপকল্প, সংগীতধর্মিতা ও আধ্যাত্মিকতা মিলিত হয়ে কবিতাগুলিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে। “প্রাণ” কবিতাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। এই কবিতায় কবি জীবনের গভীরতা, আত্মার আর্তি ও অন্তর্গত শক্তির প্রসারকে হৃদয়গ্রাহী ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। এটি শুধু প্রেম বা অনুভবের প্রকাশ নয়, বরং জীবনের সজীবতার সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠার এক অনুপম রূপক। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় যেমন দার্শনিকতা ও সংগীতের মেলবন্ধন দেখা যায়, তেমনি “প্রাণ” কবিতাটিও সেই ধারারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

প্রাণ কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
এই সূর্য্য করে এই পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই!

ধরায় প্রা’ণের খেলা চির তরঙ্গিত,
বিরহ মিলন কত হাসি অশ্রুময়,—
মানবের সুখে দুঃখে গাঁথিয়া সঙ্গীত
যদি গো রচিতে পারি অমর আলয়!

তা যদি না পারি তবে বাঁচি যত কাল
তোমাদেরি মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই,
তোমরা তুলিবে বলে সকাল বিকাল
নব নব সঙ্গীতের কুসুম ফুটাই!

হাসি মুখে নিও ফুল, তার পরে হায়
ফেলে দিও ফুল, যদি সে ফুল শুকায়!

আরও দেখুন:

মন্তব্য করুন