বাঁধন ছেঁড়ার সাধন , পূজা ১৮৫ | Badhon cherar shadhon

বাঁধন ছেঁড়ার সাধন , পূজা ১৮৫  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

 

বাঁধন ছেঁড়ার সাধন , পূজা ১৮৫ | Badhon cherar shadhon

রাগ: ভৈরবী

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১ বৈশাখ, ১৩৩৩

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৪ এপ্রিল, ১৯২৬

 

বাঁধন ছেঁড়ার সাধন , পূজা ১৮৫ | Badhon cherar shadhon

বাঁধন ছেঁড়ার সাধন:

 

বাঁধন ছেঁড়ার সাধন হবে,

ছেড়ে যাব তীর মাভৈ-রবে ॥

যাঁহার হাতের বিজয়মালা

রুদ্রদাহের বহ্নিজ্বালা

নমি নমি নমি সে ভৈরবে ॥

কালসমুদ্রে আলোর যাত্রী

শূন্যে যে ধায় দিবস-রাত্রি

ডাক এল তার তরঙ্গেরই,

বাজুক বক্ষে বজ্রভেরী

অকূল প্রাণের সে উৎসবে ॥

 

বাঁধন ছেঁড়ার সাধন , পূজা ১৮৫ | Badhon cherar shadhon

 

১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়।

 

১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাঁধন ছেঁড়ার সাধন , পূজা ১৮৫ | Badhon cherar shadhon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

 

মন্তব্য করুন