বেঁধেছ প্রেমের পাশে , পূজা ৩৮১ | Bedhecho premer pashe রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়।
বেঁধেছ প্রেমের পাশে , পূজা ৩৮১ | Bedhecho premer pashe
রাগ: কাফি-কানাড়া
তাল: ত্রিতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯১
বেঁধেছ প্রেমের পাশে:
বেঁধেছ প্রেমের পাশে ওহে প্রেমময়।
তব প্রেম লাগি দিবানিশি জাগি ব্যাকুলহৃদয় ॥
তব প্রেমে কুসুম হাসে,তব প্রেমে চাঁদ বিকাশে,
প্রেমহাসি তব উষা নব নব,
প্রেমে-নিমগন নিখিল নীরব,
তব প্রেম-তরে ফিরে হা হা ক’রে উদাসী মলয়।
আকুল প্রাণ মম ফিরিবে না সংসারে,
ভুলেছে তোমারি রূপে নয়ন আমারি।
জলে স্থলে গগনতলে তব সুধাবাণী সতত উথলে–
শুনিয়া পরান শান্তি না মানে,
ছুটে যেতে চায় অনন্তেরই পানে,
আকুল হৃদয় খোঁজে বিশ্বময় ও প্রেম-আলয় ॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।