ভয়েরে মোর আঘাত করো , পূজা ২২১ | Voyere mor aghat koro

ভয়েরে মোর আঘাত করো , পূজা ২২১ | Voyere mor aghat koro  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

ভয়েরে মোর আঘাত করো , পূজা ২২১ | Voyere mor aghat koro

রাগ: অজ্ঞাত

তাল: অজ্ঞাত

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩১৭

 

ভয়েরে মোর আঘাত করো , পূজা ২২১ | Voyere mor aghat koro

ভয়েরে মোর আঘাত করো:

 

ভয়েরে মোর আঘাত করো ভীষণ, হে ভীষণ!

কঠিন করে চরণ-‘পরে প্রণত করো মন ॥

বেঁধেছে মোরে নিত্য কাজে প্রাচীরে-ঘেরা ঘরের মাঝে,

নিত্য মোরে বেঁধেছে সাজে সাজের আভরণ ॥

এসো হে, ওহে আকস্মিক, ঘিরিয়া ফেলো সকল দিক,

মুক্ত পথে উড়ায়ে নিক নিমেষে এ জীবন।

তাহার ‘পরে প্রকাশ হোক উদার তব সহাস চোখ–

তব অভয় শান্তিময় স্বরূপ পুরাতন ॥

 

ভয়েরে মোর আঘাত করো , পূজা ২২১ | Voyere mor aghat koro
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।

 

ভয়েরে মোর আঘাত করো , পূজা ২২১ | Voyere mor aghat koro
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন