ভয় হয় পাছে , পূজা ৪৯৪ | Voy hoy pache

ভয় হয় পাছে , পূজা ৪৯৪ | Voy hoy pache  রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

ভয় হয় পাছে , পূজা ৪৯৪ | Voy hoy pache

রাগ: ভৈরব

তাল: সুরফাঁকতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯৩

 

ভয় হয় পাছে , পূজা ৪৯৪ | Voy hoy pache
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

ভয় হয় পাছে:

 

ভয় হয় পাছে তব নামে আমি আমারে করি প্রচার হে।

মোহবশে পাছে ঘিরে আমায় তব নামগান-অহঙ্কার হে ॥

তোমার কাছে কিছু নাহি তো লুকানো, অন্তরের কথা তুমি সব জানো–

আমি কত দীন, আমি কত হীন, কেহ নাহি জানে আর হে ॥

ক্ষুদ্র কণ্ঠে যবে উঠে তব নাম বিশ্ব শুনে তোমায় করে গো প্রণাম–

তাই আমার পাছে জাগে অভিমান, গ্রাসে আমায় আঁধার হে,

পাছে প্রতারণা করি আপনারে তোমারে আসনে বসাই আমারে–

রাখো মোহ হতে, রাখো তম হতে, রাখো রাখো বারবার হে ॥

 

ভয় হয় পাছে , পূজা ৪৯৪ | Voy hoy pache
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন