মনে রয়ে গেল , প্রেম ১৯৩ | Mone roye gelo

মনে রয়ে গেল , প্রেম ১৯৩ | Mone roye gelo  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

মনে রয়ে গেল , প্রেম ১৯৩ | Mone roye gelo

রাগ: বেহাগ-কীর্তন

তাল: ঝাঁপতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯০

 

মনে রয়ে গেল , প্রেম ১৯৩ | Mone roye gelo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

মনে রয়ে গেল:

মনে রয়ে গেল মনের কথা–

শুধু চোখের জল, প্রাণের ব্যথা ॥

মনে করি দুটি কথা ব’লে যাই, কেন মুখের পানে চেয়ে চলে যাই।

সে যদি চাহে মরি যে তাহে, কেন মুদে আসে আঁখির পাতা ॥

ম্লানমুখে, সখী, সে যে চলে যায়– ও তারে ফিরায়ে ডেকে নিয়ে আয়

বুঝিল না সে যে কেঁদে গেল– ধুলায় লুটাইল হৃদয়লতা।

 

মনে রয়ে গেল , প্রেম ১৯৩ | Mone roye gelo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত।

 

মনে রয়ে গেল , প্রেম ১৯৩ | Mone roye gelo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন