মম দুঃখের সাধন , প্রেম ২২৫ | Momo dukkher sadhon

মম দুঃখের সাধন , প্রেম ২২৫ | Momo dukkher sadhon রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

মম দুঃখের সাধন , প্রেম ২২৫ | Momo dukkher sadhon

রাগ: মিশ্র বেহাগ

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩৪৬

 

মম দুঃখের সাধন , প্রেম ২২৫ | Momo dukkher sadhon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

মম দুঃখের সাধন:

মম দুঃখের সাধন যবে করিনু নিবেদন তব চরণতলে

শুভলগন গেল চলে,

প্রেমের অভিষেক কেন হল না তব নয়নজলে॥

রসের ধারা নামিল না, বিরহে তাপের দিনে ফুল গেল শুকায়ে–

মালা পরানো হল না তব গলে॥

মনে হয়েছিল দেখেছিনু করুণা তব আঁখিনিমেষে,

গেল সে ভেসে।

যদি দিতে বেদনার দান, আপনি পেতে তারে ফিরে

অমৃতফলে॥

 

মম দুঃখের সাধন , প্রেম ২২৫ | Momo dukkher sadhon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

 

মম দুঃখের সাধন , প্রেম ২২৫ | Momo dukkher sadhon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুন:

মন্তব্য করুন