মরণের মুখে রেখে , পূজা ৫৮৭ | Moroner mukhe rekhe

মরণের মুখে রেখে , পূজা ৫৮৭ | Moroner mukhe rekhe  রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

মরণের মুখে রেখে , পূজা ৫৮৭ | Moroner mukhe rekhe

রাগ: ভৈরবী

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৪ আষাঢ়, ১৩৩২

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৮ জুন, ১৯২৫

 

মরণের মুখে রেখে , পূজা ৫৮৭ | Moroner mukhe rekhe
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

মরণের মুখে রেখে:

মরণের মুখে রেখে দূরে যাও দূরে যাও চলে

আবার ব্যাথার টানে নিকটে ফিরাবে ব’লে ॥

আঁধার-আলোর পারে খেয়া দিই বারে বারে,

নিজেরে হারায়ে খুঁজি– দুলি সেই দোলে দোলে ॥

সকল রাগিণী বুঝি বাজাবে আমার প্রাণে–

কভু ভয়ে কভু জয়ে, কভু অপমানে মানে।

বিরহে ভরিবে সুরে তাই রেখে দাও দূরে,

মিলনে বাজিবে বাঁশি তাই টেনে আন কোলে ॥

 

মরণের মুখে রেখে , পূজা ৫৮৭ | Moroner mukhe rekhe
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন