Site icon Amar Rabindranath [ আমার রবীন্দ্রনাথ ] GOLN

যতখন তুমি আমায় , পূজা ২৮ | Jotokhon tumi amay

যতখন তুমি আমায় , পূজা ২৮ | Jotokhon tumi amay  রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়।

যতখন তুমি আমায় , পূজা ২৮ | Jotokhon tumi amay

রাগ: কীর্তন

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): পৌষ, ১৩২৯

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

যতখন তুমি আমায়:

যতখন তুমি আমায় বসিয়ে রাখ বাহির-বাটে

ততখন গানের পরে গান গেয়ে মোর প্রহর কাটে ॥

যবে শুভক্ষণে ডাক পড়ে সেই ভিতর-সভার মাঝে

এ গান লাগবে বুঝি কাজে

তোমার সুরের রঙের রঙিন নাটে ॥

তোমার ফাগুনদিনের বকুল চাঁপা, শ্রাবণদিনের কেয়া,

তাই দেখে তো শুনি তোমার কেমন যে তান দে’য়া।

আমি উতল প্রাণে আকাশ-পানে হৃদয়খানি তুলি

বীণায় বেঁধেছি গানগুলি

তোমার সাঁঝ-সকালের সুরের ঠাটে ॥

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়।

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

আরও দেখুন :

Exit mobile version