সূখে আমায় রাখবে কেনো | Shukhe amay rakhbe keno রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক দর্শন অত্যন্ত জটিল। তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের সমর্থন করতেন।১৮৯০ সালে প্রকাশিত মানসী কাব্যগ্রন্থের কয়েকটি কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনের রাজনৈতিক ও সামাজিক চিন্তাভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়।
সূখে আমায় রাখবে কেনো | Shukhe amay rakhbe keno
শান্তিনিকেতন, ৭ ভাদ্র, ১৩২১
সূখে আমায় রাখবে কেনো :
সুখে আমায় রাখবে কেন
রাখো তোমার কোলে;
যাক-না গো সুখ জ্বলে।
যাক-না পায়ের তলার মাটি,
তুমি তখন ধরবে আঁটি,
তুলে নিয়ে দুলাবে ওই
বাহু-দোলার দোলে।
যেখানে ঘর বাঁধব আমি
আসে আসুক বান–
তুমি যদি ভাসাও মোরে
চাই নে পরিত্রাণ।
হার মেনেছি, মিটেছে ভয়,
তোমার জয় তো আমারি জয়,
ধরা দেব, তোমায় আমি
ধরব যে তাই হলে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত ছবি আঁকা শুরু করেন প্রায় সত্তর বছর বয়সে।চিত্রাঙ্কনে কোনো প্রথাগত শিক্ষা তার ছিল না। প্রথমদিকে তিনি লেখার হিজিবিজি কাটাকুটিগুলিকে একটি চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করতেন।
হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলার তথ্যপ্রমাণ এবং পরবর্তীকালে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ গদর ষড়যন্ত্রের কথা শুধু জানতেনই না, বরং উক্ত ষড়যন্ত্রে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তেরাউচি মাসাতাকি ও প্রাক্তন প্রিমিয়ার ওকুমা শিগেনোবুর সাহায্যও প্রার্থনা করেছিলেন।আবার ১৯২৫ সালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে স্বদেশী আন্দোলনকে “চরকা-সংস্কৃতি” বলে বিদ্রুপ করে রবীন্দ্রনাথ কঠোর ভাষায় তার বিরোধিতা করেন।
আরও দেখুন:
- সূখের মাঝে তোমায় দেখেছি | Shukher majhe tomay dekhechi
- পথহারা তুমি পথিক যেন গো | Poth hara tumi pothik jeno go
- সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে | Shedin dujone dulechinubone
- কোথা হতে বাজে প্রেমবেদনা রে | Kotha hote baje prembedona re
- বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি | Borish dhora majhe shantir bari
- আমার মাথা নত করে দাও হে প্রভু | Amar matha noto kore dao hey provu