হৃদয়বেদনা বহিয়া , পূজা ৪০১ | Hridoybedona bohiya রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট।
হৃদয়বেদনা বহিয়া , পূজা ৪০১ | Hridoybedona bohiya
রাগ: কাফি
তাল: তেওরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯৪
হৃদয়বেদনা বহিয়া:
হৃদয়বেদনা বহিয়া, প্রভু, এসেছি তব দ্বারে।
তুমি অর্ন্তযামী হৃদয়স্বামী, সকলই জানিছ হে–
যত দুঃখ লাজ দারিদ্র৻ সঙ্কট আর জানাইব কারে?।
অপরাধ কত করেছি, নাথ, মোহপাশে প’ড়ে–
তুমি ছাড়া, প্রভু, মার্জনা কেহ করিবে না সংসারে ॥
সব বাসনা দিব বিসর্জন তোমার প্রেমপাথারে,
সব বিরহ বিচ্ছেদ ভুলিব তব মিলন-অমৃতধারে।
আর আপন ভাবনা পারি না ভাবিতে, তুমি লহো মোর ভার–
পরিশ্রান্ত জনে, প্রভু, লয়ে যাও সংসারসাগরপারে ॥
রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়।
রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।
আরও দেখুনঃ