হৈমন্তী ছোটগল্প | Chotogolpo Haimanti | সবুজপত্র, গল্প সপ্তক, গল্পগুচ্ছ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘হৈমন্তী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অনবদ্য ছোটগল্প, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩১৯ বঙ্গাব্দে ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায়। পরবর্তীতে এটি ঠাকুরের গল্পগ্রন্থ ‘গল্প সপ্তক’ …
ছোটগল্প : রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন বাঙালিকে তাঁর গান গাইতে হবে। তাঁর অন্য কোনো শিল্পসৃষ্টি সম্পর্কে এমন ভবিষ্যদ্বাণী তিনি করেননি। করলে কি সেটা তাঁর ছোটগল্প সম্পর্কে হতো? নাকি এই শিল্পমাধ্যমটি সম্পর্কে ততটা আত্মবিশ্বাসী তিনি ছিলেন না? কিন্তু তিনি না বললেও, তাঁর মৃত্যুর সার্ধশতাধিক বছর পর আজ আমরা বোধহয় প্রবল নিশ্চয়তার সঙ্গেই বলতে পারি, সাহিত্যের এই শাখাটিতে তাঁর যে-সাফল্য, তার সঙ্গে তুলনীয় মানের দক্ষতার পরিচয় তাঁর আগে বা পরে বাংলা সাহিত্যে আর কেউ দিতে পারেননি। এক্ষেত্রে তিনিই পথিকৃৎ আবার তিনিই পুরোধা। বাংলা ছোটগল্পের সূত্রপাত তাঁর হাতে, আবার তিনিই একে তার পরিণতিতে পৌঁছে দিয়েছেন।
হতে চেয়েছিলেন তিনি কবিই। মাঝপথে ‘মনের সুখে’ গল্প লিখতে শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে ১৮৯৪ সালের ২৭ জুন শিলাইদহ থেকে ইন্দিরা দেবীকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আজকাল মনে হচ্ছে যদি আমি আর কিছু না করে ছোট ছোট গল্প লিখতে বসি তাহলে কতকটা মনের সুখে থাকি এবং কৃতকার্য হতে পারলে হয়তো পাঁচজন পাঠকেরও মনের সুখের কারণ হওয়া যায়। গল্প লেখবার একটা সুখ এই, যাদের কথা লিখব তারা আমার দিনরাত্রির সমস্তঅবসর একেবারে ভরে রেখে দেবে, আমার একলা মনের সঙ্গী হবে, বর্ষার সময় আমার বদ্ধ ঘরের সংকীর্ণতা দূর করবে, এবং রৌদ্রের সময় পদ্মাতীরের উজ্জ্বল দৃশ্যের মধ্যে আমার চোখের পরে বেড়িয়ে বেড়াবে।১ রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প রচনার প্রাথমিক প্রেরণা বা উদ্দেশ্যের কিছুটা আভাস হয়তো এ-কথাগুলোর মধ্যেই পাওয়া যায়।
‘হৈমন্তী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অনবদ্য ছোটগল্প, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩১৯ বঙ্গাব্দে ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায়। পরবর্তীতে এটি ঠাকুরের গল্পগ্রন্থ ‘গল্প সপ্তক’ …